অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কন্টেইনার ওঠানামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর

0
.

কন্টেইনার ওঠানামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৮ সালে যেখানে কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউএস, আর ২০১৯ সালে সেটি হয়েছে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউএস। কার্গো উঠানামা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের এই পরিসংখ্যান চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপনকে ছাড়িয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এ ৩ মিলিয়নস্ ক্লাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। আমাদের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বন্দরের দক্ষ কর্মীবাহিনী ও ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠানের সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে।

বে টার্মিনালের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আউটার লিংক রোড়ের সঙ্গে বে টার্মিনালের সংযোগ সড়ক থাকবে। এছাড়াও বে টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনাল থাকবে, যেখানে আট হাজার ট্রাক রাখা যাবে। ২০২৫ সালের পর বন্দর ইয়ার্ডে আর কোনো ট্রাক থাকবে না।

অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি কন্টেইনার বন্দরে রাখার সক্ষমতা অর্জন করেছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কনটেইনার ইয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হয়। ইতিমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরকে সার্পোট দিতে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কাজ প্রায় ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে ৬০০ মিটার জেটিতে এক সঙ্গে ১৯০ মিটার দৈঘ্যের ও ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দৈঘ্যের ডলফিন জেটিতে একটি তৈলবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এছাড়া ও এই প্রকল্পের ব্যাকআপ ইয়ার্ড থাকবে প্রায় ১৬ একর। যেখানে ৪ হাজার ৫০০ টিইইউস কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা থাকবে।

বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমিকা অনস্বিকার্য। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। এ বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯২% এবং কন্টেইনারজাত পণ্যের ৯৮% পরিবাহিত হয়ে থাকে। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর।

নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে, নতুন ধরণের পণ্য খালাসের সুবিধা প্রধান করতে আর পণ্য ওঠানামার সময় কমিয়ে সেবার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তিলে তিলে নতুন মাত্রায় গড়ে উঠছে বন্দর।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম, কমডোর শফিউল বারী, ক্যাপ্টেন মহিদুল হাসান, পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশীদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিমসহ বন্দরের বিভিন্ন শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।