অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খাগড়াছড়িতে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীর পরিচয় মিলেছে

0

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

khagrachari-picture-03
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র।

খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র(ইউপিডিএফ) সন্ত্রাসীর পরিচয় পাওয়া গেছে। সে জেলার দীঘিনালা উপজেলা পাবলাখালীর মৃত তুঙ্গরাম চাকমার ছেলে বুদ্ধজয় চাকমা (৩৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই বড় ভাই বুজেন্দ্র কুমার চাকমা।

আজ শনিবার বিকালে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ছোট ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করে বুজেন্দ্র কুমার চাকমা জানান, বুদ্ধজয় চাকমা প্রায় বিশ বছর ধরে পরিবারের সাথে বিচ্ছিন্ন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটির সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তদন্ত এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দাতকুপিয়া এবং ভুয়াছড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থান কুতুকছড়িতে যৌথ বাহিনী ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র(ইউপিডিএফ) মধে বন্দুক যুদ্ধের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়। পরে প্রায় ১৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি এম-১৬ রাইফেল,১৫ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী জি-৩ রাইফেল, একটি জি-৩ রাইফেলের ম্যাগজিন, ৪৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি চাইনিজ সাব মেশিনগান, একটি চাইনিজ সাব মেশিনগানের ম্যাগজিন, এম-১৬ রাইফেলের একটি ম্যাগজিন,একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি মোবাইল, একটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

khagrachari-picture-01-2
.

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক লে.কর্ণেল হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে যৌথ বাহিনীও প্রায় তিনশ ১১ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। যৌথ বাহিনীরএক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অন্ধকার পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ সময় যৌথ বাহিনীর গুলিতে আরো একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা গণমাধ্যমকে তাদের সংগঠনের সাথে এ ধরণের কোনো সংঘর্ষের খবর অস্বীকার করেছেন।

সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, জেলার সদর উপজেলার কুতুকছড়ির বৈঠকে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তাইন্দং, গঙ্গারাম, সাজেক, বঙ্গাতলী, ঘিলাছড়ি, কামুক্কুছড়া, কুতুকছড়ি, মাইচছড়ি, সিদ্ধিছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে এমন তথ্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে রয়েছে।