চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের গুলি বিনিময়, এলাকায় আতঙ্ক: আটক ১০
চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের বাড়ির সামনে দ্বিতীয় দিনের মত ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মেধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল, একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির ও সভাপতি মহিউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় পুরো আন্দরকিল্লা মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা রাত ৯টার একটু আগে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে মহিউদ্দিন সমর্থিত ৫০/৬০ জন অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ সিটি কর্পোরেশনে দিক থেকে মিছিল নিয়ে নজির আহমদ সড়কের (আইন কলেজের সামনে) আ জ ম নাছিরের বাড়ির সামনে গিয়ে যানবাহন ভাঙচুর এবং ফাকা গুলি বর্ষণ করতে থাকে।
এসময় নাছির সমর্থিত যুবলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা আইন কলেজের মাঠেই ছিল। হামলার পরপরই তারা মহিউদ্দিন গ্রুপকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এবং ধাওয়া দিয়ে সিরাজুদৌলা সড়কে দিকে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এসময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে পুরো আন্দরকিল্লায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষ দ্বিগবিদিগ হয়ে পালাতে থাকে। কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। বিপুল সংখ্যক পুলিশ আন্দরকিল্লা থেকে মোমিন রোড, সিটি কর্পোরেশনের সামনে অবস্থান করছে।
অপর দিকে নাছির সমর্থিত ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরাও গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে পুরো এলাকায় অবস্থান করছে।
আ জ ম নাছিরের বাড়ির গেইটে সামনে প্রেসের দোকানের এক কর্মচারী জানায় ৯টার সময় মহিউদ্দিন গ্রুপের ছেলেরা এখানে এসেই গুলিবর্ষণ এবং গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। পরে তারা ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। তারা এসময় আইন কলেজের দেয়ালের সাথে লাগানো বৈদুত্যিক ট্রান্সফার্মা লক্ষ্য করেও গুলি ছুড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, আন্দরকিল্লা এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলার সময় সেখানে দায়িত্বরত দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক হায়দার আলীকে নাজেহাল করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা সাংবাদিক হায়দারের ক্যামরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়।
এর আগের রাত সোমবারও একই সময় একই স্থানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে রাতে একবিবৃতিতে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দরকিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ছবি তুলতে গিয়ে তাদের হামলার শিকার হন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের কার্যনিবাহী সদস্য দৈনিক পূর্বদেশের ফটো সাংবাদিক হায়দার আলী। এসময় তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার তীব্রনিন্দা জানিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
ওরা সোনার ছেলে, ওরা জঙ্গি বা সন্ত্রাসী না। তাদের কাছে ছুরি নেই ! আছে আগ্নেয় অস্ত্র ! দেশ চলছে ৭২-৭৫ স্টাইলে।
অসহ্য!!
কিছুই করার নাই… সহ্য করতে হবে।
ভাই এগুলো কিছু না।
কিছুদিন আগে পূজা হইছিলোতো সেজন্য আতস বাজী ফুটাইছে
এগুলো কোন ব্যাপার না
লাগ বেল্কি লাগ
হা হা হা