অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাজধানীতে শুরু হয়েছে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের ৫ দিনব্যাপী সম্মাননা প্রদর্শনী ও বাঁশরীসন্ধ্যা

0
.

বিপুল সঙ্গীতপ্রেমী আর দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে শুক্রবার থেকে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে শাস্ত্রীয় ধারার আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলামের দেশে-বিদেশে আজীবন অর্জিত সম্মাননা স্মারক নিয়ে পাঁচদিনব্যাপী প্রদর্শনী এবং একক বংশীবাদন আয়োজন।

জাতীয় জাদুঘরের নলিনী ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সুররস গ্রহীতাদের জন্য প্রতিদিন চলবে আয়োজন।

বিকাল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উন্মোচন করেনসংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের মতো একজন গুণী শিল্পী আমাদের মাঝে একাগ্রচিত্তে সুরের সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন, দেশে-বিদেশে মানুষকে সুরের মোহজালে আবিষ্ট রাখছেন, এটি আমাদের পরম সৌভাগ্য। তিনি আমাদের গর্ব। তার জীবন ও কর্মের ওপর এ জাতীয় বড় একটি আয়োজন হচ্ছে দেখে আমি অভিভূত। আমি শিল্পীর দীর্ঘজীবন কামনা করি। আমি চাই আরো বহুদিন সুরধারাপাতে এভাবেই আমাদের সিক্ত করবেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম পর্ব শুরু হয় সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদিরের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে। এরপর বিশেষ অতিথি হিসেবে একে একে শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী ও পাপেটিয়ার জনাব মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য লিয়াকত আলি এবং মঞ্চব্যক্তিত্ব ও সংগঠক ম. হামিদ।

এছাড়া সুরের আকর্ষণে বাঁশির এ আয়োজনে আরো হাজির ছিলেন বাংলা সঙ্গীতভুবনের নীল মণিহার লাকি আখন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, খ্যাতিমান গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ এনভারনমেন্টাল নেটওয়ার্কের কামরুল আহসান খান।

এ পর্বে ওস্তাদজি নিজের অটোগ্রাফসম্বলিত একটি বাঁশি এবং তার এ পর্যন্ত প্রকাশিত একগুচ্ছ অ্যালবাম শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে আগত অতিথিদের হাতে তুলে দেন। বিরলপ্রজ এ শিল্পীর পাঁচদিনব্যাপী আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতা দিয়েছেন গিভেন্সি হোটেল এবং সোসাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)।

শাস্ত্রীয় বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম উপমহাদেশের শীর্ষস্তরের সুরসাধক হিসেবে খ্যাতিমান। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সবখানেই বাঁশি শুনিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। বিগত প্রায় অর্ধশতকের পদচারণায় দেশেবিদেশে অজস্র সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এ শিল্পী। পাঁচদিনব্যাপী প্রদর্শনীতে তার এই সম্মাননা স্মারকগুলো দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকবে নানাবিধ ধ্রুপদী রাগে শিল্পীর একক বাঁশি পরিবেশনা।

এছাড়া, পাঁচদিনব্যাপী বংশীবাদন আয়োজনের অংশ হিসেবে ২১ জানুয়ারি, শনিবার একক বংশীবাদন (সকালের রাগ) আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জনাব আনিসুল হক, মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এদিন উপস্থিত আরো গুণীজনের হাতে লেজার ভিশন থেকে প্রকাশিত শিল্পীর সর্বশেষ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।

ওইদিন বিশেষ অতিথি থাকবেন জনাব রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন, জনাবা কাজী রোজি, এমপি, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, শিক্ষাবিদ। এদিনে সভাপতি থাকছেন ড. এম আনিসুজ্জামান, ইমেরিটাস অধ্যাপক। এবং ২২ জানুয়ারি, রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা চিত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

২৩ জানুয়ারি, সোমবার বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সমাপনী অনুষ্ঠান ও বংশীবাদন আয়োজনের প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিকী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, জাতীয় জাদুঘরের চেয়ারম্যান হাশেম খান, এবং কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহিত উল আলম। সমাপনী আয়োজনে সভাপতি থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানি। এছাড়া ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনী ও শিল্প আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।