অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“সুজয়ের চিঠি” দিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যে চিত্রনায়িকা মৌসুমী

0
সুজয়ের চিঠি’র একটি দৃশ্যে মৌসুমী

“কেয়ামত থেকে কেয়ামত” এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্রে অভিষেকের পর প্রায় দুই শতাধিক চলচিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। চলচিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার জাতীয় পুরষ্কারও অর্জন করেন। এরপর নাটকও করেছেন অনেক, তবে এবার একটু ভিন্ন ধারায়, “সুজয়ের চিঠি”র মাধ্যমে ১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্যে ইউটিউবে অভিষেক ঘটাতে যাচ্ছেন এই সফল এবং জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা।

আজ (১৫ই ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ০৮ টায় ideaBox এর ইউটিউব চ্যানেল এবং RFL প্লাষ্টিক এর ফেইসবুক পেইজ থেকে রিলিজ দেয়ার কথা রয়েছে।

গত ০৮ই ফেব্রুয়ারী এই স্বল্পদৈঘ্যের শুটিং সম্পন্ন হয়। উত্তরা এবং পুরান ঢাকা’র একটি রাজবাড়ীতে এর শুটিং হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দুই তরুন-তরুনীর না পাওয়া ভালোবাসার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে সুজয়ের চিঠি। নাটকটি রচনা করেছেন রাহাত এইচ চৌধুরী এবং পরিচালনা করেছেন ফাহমিদা প্রেমা। শর্টফিল্ম’টিতে সুজয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে রাশেদ ভূঁইয়া’কে এবং অর্পিতা’র ভূমিকায় দেখা যাবে মৌসুমী’কে। রাশেদ ভূইয়া’র এটি প্রথম কাজ চিত্রনায়িকা মৌসুমী’র সাথে, এর আগে তিনি কিছু থিয়েটার আর্টিষ্ট করলেও বর্তমানে তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন এবং কাজ শুরু করছেন। অন্যদিকে এটি মৌসুমীর প্রথম শর্টফিল্ম ইউটিউবের জন্য যা শুধুমাত্র অনলাইনেই দেখা যাবে।

রাশেদ ভূঁইয়া এবং মৌসুমী

এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মৌসুমী পাঠক.নিউজ’কে বলেন, প্রযুক্তির ধারাবাহিকতায় এখন সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন, প্রজন্ম এখন প্রযুক্তি নির্ভর যাদের একটি বিশাল অংশ ইউটিউব এবং ফেইসবুক ঘেঁটে ঘেঁটে নাটক সিনেমা ও গান দেখছেন। তাদের কাছেও যেতে চাই, এবং তাদের কাছে যাওয়ার জন্যই স্বল্পদৈঘ্য ছবিতে অভিনয় করেছি।

আমি খুব এক্সাইটেড, আমি চাই ধরনের ছোট গল্প নিয়ে আমাদের মত তরুন তরুনীরা এগিয়ে আসুক শর্টফিল্ম করুক, যাতে বর্তমানের কিছু সেলিব্রেটি আর্টিষ্ট’রা তার দিকে নজর দিক এবং কাজ করুক, যাতে ভবিষ্যতে কিছু দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা যায়। পাঠক.নিউক’কে বললেন শর্টফিল্মটি’র পরিচালক ফাহমিদা প্রেমা।

ফাহমিদা প্রেমা

উল্লেখ্য পরিচালক ফাহমিদা প্রেমা এর আগে বেশ কিছু কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৌসুমী এবং নাঈম অভিনীত “রেসিপি অফ লাভ”, যা গত কোরবানি ঈদে এশিয়ান টিভিতে সম্প্রচার করা হয়।

সুজয়ের চিঠি প্রসঙ্গে রাহাত এইচ চৌধুরী বলেন, গল্পটি খুব চমৎকার, গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের দৃষ্টান্ত দেখা যায়, এবং গল্পটি সে সময়কার দুটি তরুন তরুনীর পাওয়া না পাওয়া নিয়ে গল্প। গল্পটি নিয়ে কিছু কল্পনাও আছে, এটি ভালোবাসা এবং মুক্তি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তৈরী করা হয়েছে। গল্পটি মৌসুমী আপুকে নতুন রুপে পাওয়ার অনুভূতি দান করবে।