অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভীতকে মজবুত করতে হবে

0

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের তরুণদের আরও আধুনিক, মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে শুধু বিনোদন বা অবসর সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলে চলবে না এর মধ্য থেকে সত্যকে তুলে ধরতে হবে।

তিনি শনিবার (১১ মার্চ) নগরীর জি ই সি প্যালেস হোটেলের কনফারেন্স রুমে-চিটাগাং অনলাইন একটিভিষ্টস ফোরাম আয়োজিত “তথ্য প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে- মুক্তিযুদ্ধ, দলীয় আদর্শ প্রচার এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন প্রজন্মের করনীয়” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ফোরামের অন্যতম উদ্যোক্তা, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরো বলেন-ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাথে আমাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। এর ভালো দিক গুলোকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ও রাষ্ট্রের ভীতকে মজবুত করতে হবে।

.

তিনি বলেন, যে দেশে ৬ কোটি ৮২ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে সে দেশকে তাচ্ছিল্য করার সুযোগ আর নেই- এদেশের তরুন যুবকরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল শুধুমাত্র সাহস আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে। তিনি বলেন, অনলাইনে একটি  মহল দেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যুক্তি দিয়ে এদের মিথ্যাকে পরাজিত করতে হবে লেখনী আর মেধা দিয়ে। তিনি লেখাপড়ার সময় ফেসবুক বা অনলাইনে আসক্তিকে পরিহার করে একটি নির্দিষ্ট অবসর সময়ে তা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকার বেসরকারি কলেজের অনলাইন কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠের উদ্বোধন করা হয়।

অনলাইন কর্মী হাসান মনসুর সেমিনারে তার মূল বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৫ই আগষ্টে নির্মমভাবে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ্য পুস্তক থেকে শুরু করে তৎকালীন প্রচার মাধ্যমে বিকৃতভাবে বার বার উপস্থাপন করে নতুন প্রজন্মের বৃহৎ এক অংশকে বিভ্রান্ত করার হয়েছিল। পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত ১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসকরা তাদের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে এদেশে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দিয়েছিল। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের গণতান্ত্রিক সরকার থাকলেও দেশের ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এই পরাজিত শক্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরা খুব সক্রিয় এবং সুকৌশলে মিথ্যার বেসাতি দিয়ে সাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন-ইসতিয়াক আহমেদ চৌধুরী সাদিদ, হাজি সেলিম রহমান, ইমতিয়াজ সেজান সানি, কামরুল হুদা পাভেল, সাব্বির সাকির, সৈয়দ মাইনুল আলম সৌরভ, আকলিমা আক্তার, মোঃ আরিফ উদ্দিন, সেলিম হোসেন চৌধুরী, মাইনুল আহসান সরওয়ার সুজন, ইয়াসির আরাফাত, সেলিম পারভেজ ববি, দোলন চন্দ্র দে, ছাত্রনেতা মনিরুল হক মুন্না, মোবারক এইচ খান, এম.এন ইসলাম রানা, এনামুল ইসলাম রনি, ইকবাল রাসেল প্রমুখ।