ফটিকছড়িতে নামাজরত পীরের উপর হামলা: গণপিটুনীর পর যুবক আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নামাজরত অবস্থায় এক পীরকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহত পীর হাফেজ শাহালম নঈমী (৬০)কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মুসল্লিরা ধরে গণপিটুনী দিয়েছে ছুরিকাঘাতকারী দুর্বৃত্ত ছালাউদ্দিন (২৭)কে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় করার সময় উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের আশরাফাবাদ দরবার শরীফে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইন্দং কারবাল্লাহ টিলায় অবস্থিত আশরাফাবাদ দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হাফেজ শাহালম নঈমী (৬০) মাজারের মসজিদে মাগরিবের নামাজের ইমামতি করছিলেন। নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে যুবক ছালাউদ্দিন তার পিটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় মসজিদে থাকা লোকজন হামলাকারী যুবক ছালাউদ্দিন (২৭)কে আটক করে।
খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে হলে পীরের ভক্তরা সেখানে এসে ভিড় জমান। হামলাকারীকে গণপিটুনি দেয়া হয়। আহত পীরকে প্রথমে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে পীরের ভক্তদের বাধার সম্মুখিন হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। হামলাকারী যুবক একই ইউনিয়নের পাইন্দং গ্রামের মিয়াজি বাড়ির নুর মুহাম্মদের ছেলে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ইউছুফ মিয়া বলেন, আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাকে আগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শুনেছি এ যুবক পীরের কাছে তাবিজের জন্য গিয়েছিল।তোকে একটা তাবিজও দিয়েছে পীর। তবে ধারণা করছি সে মানষিকভাবে অসুস্থ্য। কেন হামলা করেছে তার কারণ জানা যায়নি। মামলা দায়েরের পর তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
এভাবে হক বাতিলের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায়। নামাজরত অবস্থায় আগে ও রাসূলে পাক (সাঃ) এর সাহাবী হযরত ওমর ফারুক ও হযরত আলী (রাঃ) কে হত্যা করেছে।