অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চীনের রহস্যজনক ভাইরাস ঠেকাতে শাহ আমানতে রেড অ্যালার্ট

0
.

চীনের রহস্যজনক ভাইরাসের কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যানিং করতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।

(১৯ জানুয়ারী) শুক্রবার থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ভাইরাস খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য সতর্কতামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরওয়ার-ই-জামান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে চীনে সরাসরি ফ্লাইট না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য, দুবাই, ভারত হয়ে কানেকটিং ফ্লাইটে চীন থেকে অনেকে আসেন। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করছে। যদি কানেকটিং ফ্লাইটের কোনো যাত্রীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ রয়েছে কিনা সেটির ওপর নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। চীন থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জানাতে ইমিগ্রেশনে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে সতর্কতা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিমানবন্দর এলাকায়। পালাক্রমে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ আছে এমন যাত্রী পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ও স্বাচিপ নেতা ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, বিমানবন্দরে স্থাপিত হেলথ ডেস্কে কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। যেসব ফ্লাইট চীন থেকে আসছে সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভাইরাসটি যেন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য চীন থেকে আসা সরাসরি তিনটি ফ্লাইটের যাত্রীদের নজরে রাখা হবে।

ফ্লাইট তিনটি হলো- ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স। এ এয়ারলাইন্সের ছয়টি ফ্লাইট প্রতিদিন আসা যাওয়া করে।

রহস্যজনক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, একজন থেকে অন্যজনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক চিকিৎসা কর্মীও রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চীন ছাড়াও জাপান, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে।