অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বন্ধ হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

0
আইআইইউসির ক্যাম্পাস। ইনসেটে বন্ধের নোটিশ।

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। (আইআইইউসি)।

শিক্ষকদের মারধর, হুমকি, নাজেহাল,ইইই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানকে গালাগালি ও হুমকি সর্বোপরি গতকাল মঙ্গলবার একজন ছাত্রকে শিবির আখ্যা দিয়ে হামলাসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

.

আজ বুধবার বিকেলে জরুরী নোটিশ জারির মাধ্যমে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

এবং আজ রাত ৯টার মধ্যে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ কাসেম পিএসসি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

.

এদিকে শিক্ষদের নাজেহাল হুমকি ও নিরীহ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্যাম্পাসে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীরা।

পরে তারা কর্তৃপক্ষকে স্বারকলিপি দিতে যাবার সময় ছাত্রলীগ হামলা চালা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ক্যাস্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিতে বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

উল্লেখ্য- সোমবার রাতে শিবির কর্মী সন্দেহে এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা।  ওসমান (রা) হলে রড, লাঠি ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় ওই শিক্ষার্থীকে।

এতে অংশ নেন ছাত্রলীগ নামধারী আইন বিভাগের ছাত্র উ চো মারমা, রবিউল ইসলাম রনি, শফিউল ইসলাম, অনিক ও মৃদুল।

পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আদনান কুর’আনিক সাইন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ২য় সেমিস্টার ছাত্র।

জানা যায়, ছাত্রলীগের নেতারা আদনানকে শিবির সন্দেহে আটক করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে বেদড়ক মারধর করে। সে ওসমান হলের ৪১৩ নং হলে থাকতো বলে জানা গেছে।