অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মেয়র নির্বাচিত হলে “চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করবো”-ডা শাহাদাত

0
.

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রাণঢালা সংবর্ধনার জবাবে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেছেন- জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করবো। চট্টগ্রাম নগরীকে ঢেলে সাজানো হবে। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত, পরিচ্ছন্ন, হেলদী সিটি, গ্রীণসিটি ও পর্যটন নগরীতে পরিণত করার জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।  জনবান্ধব সাম্যের শহর হিসেবে গড়ে তুলবো এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করা হবে।

তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকালে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মনোনীত হয়ে ঢাকা থেকে রেল যোগে চট্টগ্রাম আসলে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়ার সময় এ সব কথা বলেন।

.

এ সময় তিনি বলেন, দূযোর্গপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রামবাসী আমাকে যে অভিনন্দন জানিয়েছেন সেইজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিএনপি গণতন্ত্রের শেষ মাধ্যম ভোটের অধিকারকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্র বিমূখ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন এখন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন মিলে একাকার হয়ে গেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি অঙ্গ এখন আওয়ামী যন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন নৌকার প্রতীক মানেই সাত খুন মাপ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই লালদীঘীতে সমাবেশ করার সুযোগ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই রেল ষ্টেশনে সমাবেশ। এখন নৌকার প্রতীক মানেই ভোট ডাকাতী। আমরা বলতে চাই, এ সমস্ত অপকর্ম থেকে সরকার ও ইসিকে বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় জনগণ আর ভোট কেন্দ্রমূখি হবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী রেলষ্টেশনে সমাবেশ করেছে, স্লোগান দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদেরকে পুরাতন রেলষ্টশন চত্ত্বরে যাওয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি। প্রশাসনের ভাইদের বলতে চাই, আপনারা বিএনপির প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করে একপক্ষীয় যে চিন্তা করছেন, সেখানে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। চট্টগ্রামবাসী এই হীন ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।

.

সংবর্ধনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটারেরা আতংকিত। চসিক নির্বাচনের শুরুতেই প্রশাসন ও ইসি বিএনপির প্রতি নেতিবাচক আচরণ শুরু করেছে। আমাদেরকে সমাবেশ করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। তাই সবাইকে নিজের আরামকে হারাম করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। তিনি ৪১ ওয়ার্ড ও ১৪ টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে বিএনপির একক কাউন্সিলর প্রার্থীদের জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে নেতাকর্মীদেও প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামবাসীর আশা ভরসার প্রতীক। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপির ঐক্যবদ্ধ ঘাঁটি। চট্টগ্রামবাসী ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আজকে যেভাবে সমাবেশকে সফল করেছে ভোটের দিনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করতে হবে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে এখন থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, আলহাজ্ব এম এ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, এনামুল হক এনাম, আলী আব্বাস, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কাজী বেলাল, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, শিহাব উদ্দিন মুবিন, প্রমুখ।