অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঢাকার স্টাইলে চট্টগ্রামে নির্বাচন হতে দেবো না-আমির খসরু

0

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চসিক নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাবার একটি বড় আন্দোলন। সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। যেটা বর্তামান অনির্বাচিত সরকার অবৈধ সংসদের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। ভোট কেড়ে নেয়ার পর একটার পর একটা অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের অধিকার হাইজ্যাক করছে। তা না হলে তাদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকা সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে আজকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্দোলনের অংশ হিসাবে এই নির্বাচনে আমাদের ভোটাধিকার দিয়ে পাবার মাধ্যমে আমরা সফল হতে পারবো। ২৯ মার্চ যদি ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারি তাহলে রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবো।

তিনি ৮ মার্চ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চসিক নির্বাচনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে আমরা দেখেছি চট্টগ্রামের মানুষ সময় মতো তাদের উদ্যোগ নেয়। এটা অন্য কোন বড় শহরের মতো নয়। ঢাকার নির্বাচনে ইভিএম দিয়ে ভোট কেড়ে নিয়েছে। চট্টগ্রামে আমরা সেটা হতে দেবো না। ওবায়দুল কাদের ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে নির্বাচনী সভা করেছে। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংগন করেছে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি হিসেবে নির্বাচনী কমিটির প্রধান হয়ে বিধি ভঙ্গ করেছেন। আমরা ঢাকার স্টাইলে চট্টগ্রামে নির্বাচন হতে দেবো না। যদি ইসি আমাদের কথা না মানে তাহলে আমরা পদক্ষেপ নেবো। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে আমরা প্রতিরোধ করবো। তাই আপনাদের সুশৃংখলভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রিভাবে নির্বাচন করতে হবে। কারণ আমরা ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। এটা কোন সাধারণ নির্বাচন নয়। প্রত্যেক নেতা কর্মীকে কেন্দ্রে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। যাতে বাইরের কেউ এসে কোন সুযোগ নিতে না পারে। ভয়কে জয় করে শক্তিশালী অবস্থান থেকে নির্বাচন করতে হবে। আওয়ামীলীগ তো রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকারী বাহিনীর উপর নির্ভরশীল। তারা ভীত বলেই অন্যের উপর নির্ভর করে। আমাদের মনে সাহস আছে বলেই একটা সামন্য কথা বললেই তারা লাফ দেয়।

.

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বেগম খালেদা জিয়া ও জনগণকে ভয় পায় বলেই দেশনেত্রীকে জেলে বন্দি করে রেখেছে। আওয়ামীলীগ এখন ভোটের ভয়ে আছে। এই ভয়ের থেকে ইভিএম চুরির মেশিন নিয়ে এসেছে। তারা জনগণের উপর নির্ভরশীল নয়। কিন্তু চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন। এবার চট্টগ্রাম গৃহস্তরা জাগ্রত হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে ভোট চুরি করতে দেব না। চট্টগ্রামে এবার ভোট চোর ধরবো। হাতেনাতে চোর ধরতে হবে। সাহসের সাথে মনোবল নিয়ে কেন্দ্রে গেলে জয় কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তিনি বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন ভাল মানুষ। একজন পেশাজীবি হিসেবে সবার কাছে জনপ্রিয়। আর বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন জ্বলে পুরে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়ে গেছে। তাই আমাদেও বিজয় কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের লড়াই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার রক্ষার লড়াই। এই ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য ২৯ মার্চ প্রতিটি কেন্দ্রে স্ব স্ব অবস্থান নিয়ে সবকিছুকে উপেক্ষা করে বিজয়ী হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বার্তা ২৯ মার্চ বিজয়ের মাধ্যমে দিতে চায়। বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো এই হচ্ছে আমাদেও স্লোগান। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে। আজকে জনগণ তাদের পাশে নেই। জনগণ এখন ধানের শীষ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে। জনগণ এখন ২৯ মার্চ বিজয়ীর মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রহর গুনছে। অতীতে চট্টগ্রামবাসীর পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। কোন বাঁধা বিপত্তি বিজয় থেকে আমাদের দূরে রাখতে পারবে না। তাই সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বার্তা নিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দেশে এখন একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। দেশে এখন জংলী শামন চলছে। ভোট ডাকাতীর সরকার ক্ষমতায় আছে। এই অবস্থায় আমরা চসিক নির্বাচন করছি। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ২৯ মার্চের চসিক নির্বাচনকে ৯০’র গণআন্দোলনের মত নিতে চায়। সেইজন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে পাহারা বসাতে হবে। ২৯ মার্চ আমরা বিজয়ের মালা নিয়ে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টাবেগম রোজি কবির, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএপির সি: যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলমের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে

বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইসহাক কাদের চৌধুরী, আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইদ্রীস মিয়া চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধূরী লিটন, আবদুল মন্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আহমেদুল আলম রাসেল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, এডভোকেট আবু তাহের, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, শেখ নুরুল্লা বাহার, জেলী চৌধুরী প্রমুখ।