অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

১৭৩টি দেশে করোনা আক্রান্ত ২লাখ,মৃত্যু ৯হাজার

0
.

বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯২৫ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ২৮৬ বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪ হাজার ৮০১ জন।
বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর মধ্যে ইউরোপে করোনায় আক্রান্তের পাশাপাশি চলছে মৃত্যুর মিছিল। চীনের পর ইতালিতে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে কোভিড-১৯। প্রতিমুহূর্তে সেখানে বাড়ছে আক্রান্ত আর প্রাণহানি। করোনার প্রভাব জনজীবনকে কতোটা স্তিমিত করে দিতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ইতালির মানুষ। এখন পর্যন্ত ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৭৮ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ২৫ জন।
ইউরোপে ইতালির পর করোনায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৬৯ জনে।

ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জনের। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৪ জন। করোনা মোকাবিলায় দেশটিতে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী।

যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা শতাধিক। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২৬ জন। জার্মানিতে ২৮ জন মৃতের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩২৭ জন। সুইজারল্যান্ডে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮ জন। নেদারল্যান্ডসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। অন্যদিকে, আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫১ জন।

এদিকে, করোনা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ আগামী ৩০ দিনের জন্য তাদের বিমানবন্দর ও সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনার সংক্রমণ বিপর্যয় ডেকে এনেছে ইরানে। মৃত্যু আর সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি। দোকানপাট খোলা থাকলেও নাগরিকদের ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৮৫ হাজার কারাবন্দিকে দেওয়া হয়েছে সাময়িক মুক্তি। এরই মধ্যে ইরান সরকারের হিসাবে, দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭১০ জন।

এদিকে করোনার সংক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ছেয়ে গেছে এই রোগ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৪০ জনে পৌঁছেছে। পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৭২ জন। মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ৫০ লাখ মাস্ক ও ১০ লাখ প্রতিরোধক সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। পাশাপাশি আক্রান্ত মার্কিনিদের এক হাজার ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুরোধ না মেনে কোভিড-১৯-কে ‘চীনা ভাইরাস’ বলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ভাইরাস ঠেকাতে খাদ্য ও জরুরি চিকিৎসা সেবা বাদে সব বেসরকারি খাত বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ছাড়া সব মসজিদে প্রধান জামাত ও শুক্রবারের জুমার নামাজ স্থগিত করা হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় আজানের বানীতেও পরিবর্তন এনেছে আরব আমিরাত ও কুয়েত। আজানের বানীতে লোকজনকে বাড়িতে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিকে ‘সংকটাপন্ন সময়’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী অভিবাসী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বাতিল করেছে জাতিসংঘ।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুঃসংবাদ শুনেছে বাংলাদেশ। বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এ ছাড়া দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন বলেও জানানো হয়।

আইইডিসিআর পরিচালক জানান, নতুন আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন সদ্যবিদেশ (দুজন ইতালি, একজন কুয়েত) থেকে এসেছেন এবং অপরজন তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন।