অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাস্থ্যখাতে অরাজকতা ঠেকাতে “ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স” গঠনের দাবী ডা. শাহাদাতের

0
.

স্বাস্থ্যখাতে লুটপাট ও অরাজকতা ঠেকাতে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে প্রধান করে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন। একই সাথে তিনি চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় মানসম্মত পিপিই ও মাস্ক সরবারহের দাবি জানান।

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের মাঝে প্রতিদিনের ফেসবুক লাইভে এসে গতকাল শনিবার চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়াও দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি সরকারের প্রতি এ আহবান জানান।

পবিত্র এই রমজান মাসেও তিনি এই ফেসবুক লাইভে এই সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেক ১১.৩০ পর্যন্ত এ লাইভ সেবা চলে।

দেশবাসীর উদেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১৪০ জন। আর যে জিনিসটি আমাদের সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সেটি হলো, বিভিন্ন মন্ত্রনালয় বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় এবং বাণিজ্যমন্ত্রনালয় এর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন যে বর্তমানে নকল এন-৯৫ মাস্ক বাজারে সরবরাহ করে তারা প্রচুর পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আনুমানিক আড়াই হাজার কোটি টাকার অত্যন্ত নিম্নমানের পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক বাজারে সরবরাহ করেছে। যার কারণে আজ আমার চিকিৎসক ভাইয়েরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি বলতে চাই,এর সাথে যারা জড়িত সেটি অনতিবিলম্বে তদন্ত করে বের করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০১৭-১৮ সালের পরিসংখ্যান যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি চিকিৎসা খাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের জন্য যেখানে ৪৩৭ কোটি টাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল সেখানে তারা অত্যন্ত নিম্নমানের ‘সি’ ক্যাটাগরির যন্ত্রপাতি কিনে ৩৩৭ কোটি টাকা লোপাট করেছে। আজ জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমি বারবার বলতে চাই একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এর চীফ থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যিনি সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে এই করোনা মোকাবেলা করতে পারে। কাজেই ৬৪ জেলায় করোনা মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম সেখানে আদৌ করোনা সেন্টার আছে সেটি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানেনা। আজকে আমরা যেখানে মনে করেছিলাম ঢাকা সবচেয়ে বেশি করেনা মোকাবেলায় সক্ষম কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ৬৫% রোগীই আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকা শহরে ও তার আশেপাশে গাজীপুর ও নারায়ণগজ্ঞ জেলায়। কাজেই যেখানে আমরা সবচেয়ে বেশি সেবা পাবো বলে চিন্তা করেছি সেখানে যদি এই অবস্থা হয়ে থাকে তাহলে অন্যান্য জেলায় কি অবস্থা সেটি হয়তোবা আমাদেরকে সামনের দিনগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে। তাই আমি বলতে চাই জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে।