অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

করোনা ভাইরাস নিয়ে ডব্লিউএইচওকে তথ্য গোপনের জন্য বলে চীন

0
.

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও এর প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়েসুসের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের তথ্য গোপন ও দেরিতে তৎপরতা শুরুর অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। এবার এই গুঞ্জনের আগুনে যেন ঘি ঢাললেন জার্মান গোয়েন্দারা।

দেশটির ফেডারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে স্পিজেল জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস যে দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় এ তথ্য গোপন এবং অন্তত চার থেকে ছয় সপ্তাহ যেন দেরিতে বিশ্বজুড়ে মহামারী সতর্কতা জারি করা হয়, সে জন্য তৎপরতা চালিয়েছিল চীন। এ জন্য গত ২১ জানুয়ারি ডব্লিউএইচও প্রধান ডা. গেব্রিয়েসুসের সঙ্গে আলাদাভাবে কথাও বলেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আলাপকালে শি ডব্লিউএইচও প্রধানকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যেন তখনই বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা না হয়।

ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে এ প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ডা. গেব্রিয়েসুসের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠকই হয়নি। এমনকি তারা কখনো ফোনেও কথা বলেননি। এ ধরনের তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং তা কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে ডব্লিউএইচও এবং বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টা থেকে মানুষের দৃষ্টিকে সরিয়ে দিতে চাইছে।

ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে আরও জানায়, করোনা ভাইরাস যে দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়Ñ ২০ জানুয়ারি বিষয়টি নিশ্চিত করে চীন। এর পরই সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের পর গত ২২ জানুয়ারি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় ডব্লিউএইচও। সে সময় জানানো হয় যে, উহানে মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই ১২ মার্চ করোনা প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হয়।

জার্মান গোয়েন্দাদের এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে প্রকাশ হলো যখন করোনার উৎপত্তি, সংক্রমণের তথ্য গোপন ও দেরিতে তৎপরতা শুরু নিয়ে ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচওকে দেওয়া বার্ষিক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বন্ধ করেছে। ডব্লিউএইচও অবশ্য এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ চেয়েছে। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।