অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সরকার অঘোষিতভাবে দ্বৈতনীতি গ্রহণ করেছে

0
.

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান এক বিবৃতিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ কামাল উদ্দীনের মৃত্যুতে সরকারের প্রতি ক্ষোভ এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার একান্ত সচিব নুরুল আজিম হিরু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আবদুল্লাহ আল নোমান সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সরকার অঘোষিতভাবে দ্বৈতনীতি গ্রহণ করেছে। সরকারের মন্ত্রী,এম,পি ও সরকারী দলের নেতারা করোনা আক্রান্ত হলে তাঁদেরকে সরকারী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করছেন আর অন্যদিকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।এটা চট্রগ্রামের প্রতি সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন,সরকারে প্রতিনিধিত্বকারী চট্টগ্রামের মন্ত্রীরা চট্রগ্রামের মানুষ যাতে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে নির্বিগ্নে করোনা চিকিৎসা পায় সে ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম গ্রহন করতে পারেননি।

তিনি বলেন, ৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় এবং পরবর্তী বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বিএনপি’র আমলে চট্টগ্রামের মানুষের জন্য একজন মন্ত্রীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা ও ত্রাণ তৎপরতা তদারকি করতেন।

নোমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেনা। চট্টগ্রামে প্রতিদিন বহু মানুষ অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে আবার অনেকেই হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে নির্মমভাবে মারা যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুতর অসুস্থ মানুষের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপটার ব্যবহার ও সিএমএইচে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন,বিএনপি নেতা কামাল উদ্দীন অত্যন্ত বিনয়ী ও মার্জিত রাজনীতিক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন স্পষ্টবাদী ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন দক্ষ সংগঠক।

তিনি মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।