অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পতেঙ্গায় চালু হল সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল

0
.

বন্দর নগরী চট্টগ্রােম করোনা রোগীদের চিকিৎসায় তৈরী হয়েছে আরও একটি ফিল্ড হাসপাতাল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আজ বুধবার (১ জুলাই) ১শ’ শয্যার এ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ফিল্ড হাসপাতাল।

জনগণের আর্থিক সহযোগিতায় নগরীর পতেঙ্গা বি কে কনভেনশন সেন্টারে নির্মিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন সদ্য করোনামুক্ত সিএমপি কমিশনার মাে. মাহাবুবর রহমান। এখানে আইসিইউ ছাড়া রয়েছে সকল সুযোগ-সুবিধা। দেয়া হবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা।

.

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামে ৯০টি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা ১১০টি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আইসিইউ সেবা বা চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিনই চট্টগ্রামে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বেশীর ভাগই চিকিৎসায় এগিয়ে আসেনি। এ পরিস্থিতিতে করোনা সঙ্কটে রোগীদের সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনে হাসপাতাল নির্মাণে এগিয়ে আসে।

হাসপাতালের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্নস্থানে যারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানে তারা খুব সহজেই বিনামূল্যে সেবা নিতে পারবে।’ নতুন এ হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম রয়েছে বলেও জানান হাসপাতালটি সমন্বয়ক।

দুস্থ ও নিম্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এ সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান বিকে কনভেনশন সেন্টারের মালিক মোহাম্মদ আবদুল করিম। তিনি আরো বলেন, ‘অসহায় মানুষরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। আবার অনেকেই সেবা পাচ্ছে না সে চিন্তা থেকেই এমন মহৎ উদ্যোগের সাথে থাকা।’

.

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান জানান, করোনাকালে সবাই যদি মানবিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে এ দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এমন মহৎ কাজের সঙ্গে চট্টগ্রাম পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

আজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিন্দ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, এডিসি মইনুল আহমেদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবীরা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিক ভাবে প্রতিদিন ১০ টি করে করোনা টেস্টের সেম্পল নেওয়া হবে। এছাড়া আউটডােরে সাধারণ উপসর্গের রােগীদেরও চিকিৎসা দেয়া হবে। এই হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ও সেবার দায়িত্বে থাকবেন ১২ জন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। সাথে থাকবে ২০টি হাই ফ্লো নেজাল কেনোলা অক্সিজেন সুবিধা সংবলিত বেড, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও দুটি অ্যাম্বুলেন্স। প্রসঙ্গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে এ হাসপাতালটির প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছিল স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মাত্র দুই সপ্তাহে হাসপাতালটি এখন প্রস্তুত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।