অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফোনে সম্পর্ক, বাসায় ডেকে নিয়ে কৌশলে আটকে রেখে মোটা অংকের অর্থ আদায়

0
.

টেলিফোনে বিভিন্ন যুবকের সাথে পরিচয় তারপর দাওয়াত দিয়ে বাসায় ডেকে নিয়ে কৌশলে নারী দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ভুয়া ডিবি পুলিশ সেজে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিত সংঘবন্ধ একটি চক্র। নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ এমন এক চক্রের ৫ নারী পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মনোয়ারা বেগম মনি (৪০), মৌসুমি দাস (২০), কামরুল ইসলাম (৩০), ইয়াছিন আরাফাত (২২) ও ইফতু হোসাইন (২২)। তারা সকলেই বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, নগরীর হকার্স মার্কেটের এক কাপড় দোকান কর্মচারী মো. মোজাফ্ফর (২৮)কে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি রুমে নারী দিকে আটকে রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এ চক্রের প্রধান মনোয়ারা বেগম মনির বাসায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিন পাঠক ডট নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন- বিভিন্ন দোকান মালিক কর্মচারীদের সাথে প্রথমে মোবাইল ফোনে সখ্যতা গড়ে তুলেন। তারপর দাওয়াত দিয়ে বাসায় ডেকে এনে অনৈতিক কাজের নাটক সাজিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেন মনি (৪০) গংরা।

জানা যায়, ভিকটিম মো. মোজাফ্ফর নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটের একজন দোকান কর্মচারী। গত রমজান মাসে গ্রেফতারকৃত আসামি মনির সাথে দোকানে তার পরিচয় হলে মনি তাকে তার ফোন নম্বর দেন। এরপর থেকে তাদের দুজনের মধ্যে প্রায় সময় কথা হতো। একপর্যায়ে মনি ভিকটিমকে বাসায় দাওয়াত দিলে গত ১১ জুলাই রাতে সে মনির কালামিয়া বাজারের বাসায় যান। বাসায় যাওয়া মাত্রই ভিকটিম মোজাফ্ফরের উপর মানষিক আঘাত শুরু করে মনি গংরা এবং অনৈতিক কাজের নাটক সাজিয়ে তার সাথে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে তার কাছ থেকে দাবি করেন আরও ১ লাখ টাকা। বিষয়টি ভিকটিম কৌশলে তার দোকান মালিককে জানালে দোকান মালিক মো. রাশেদ বাকলিয়া থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

ওসি আরও জানায়, ইতিপূর্বে আসামী মনোয়ারা বেগম বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে একই কায়দায় ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করেছে মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়।