অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

0

SAM_3558 (2)ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার ১০৪ টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৪১১ জন মানুষ। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশকরতে গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁশখালীর ৯ জনসহ চট্টগ্রামে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পর্যালোচনা বিষয়ক এক সভায় ত্রাণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ তথ্য তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।

ককককজেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪টি ওয়ার্ডসহ মোট ১০ উপজেলায় ১০৪ টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪১১ জন আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ।

মোট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪৩৭টি পরিবার সম্পূর্ণ ও ৮৩ হাজার ৬৬০টি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৯২টি আর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৬৬টি।

রোয়ানু’র কারণে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমাণ ১৫৪ আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ একর ফসল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট পানিতে মারা গেছে ৮০টি গবাদি পশু ও ৪০ হাজার ৫৫০টি হাঁস-মুরগি।

এছাড়া ৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১২টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ৪৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ এবং ১৪৪ একর সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ও ৬৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক।