অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মেজর সিনহা হত্যা: ৩ দিনেও অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি

1
নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান/ ইন্সপেক্টর লিয়াকত/ ওসি প্রদীপ দাশ।

কক্সবাজারে টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয় নি।

আজ সোমবার (৩ আগষ্ট) রাত পর্যন্ত পরিবার কিংবা অন্য কেউ পুলিশের বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি। তবে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম কাজ কারছে। এছাড়া সেনাবাহিনী ডিজিএফআইসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা আলাদা আলাদা তদন্ত করছে।

কক্সবাজার পুলিশ বলছে, প্রতিটি বন্দুকযুদ্ধের পর মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত যেভাবে নিয়মিত মামলা হয় সে রকম দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। তবে এসব মামলায় কোন আসামী নেই।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনের কাছে পাঠক ডট নিউজের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।  অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবার বা অন্য কোন পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।  আর কোন মামলা কেউ করেনি।  তবে পুলিশের করা মামলায় হত্যা মামলা হিসেবে ধারা লাগানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

সেনাবাহিনীর একজন সাবেক মেজরকে গুলি করে হত্যার দায় সংশ্লিষ্ট ওসি এবং আপনি পুলিশ সুপার হিসেবে দায় এড়াতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, আপনার এ প্রশ্নের জবাব আমি দেবো না।  আপনি আমাদের ব্যাক্তিগভাবে প্রশ্ন করতে চাচ্ছে না কেন..? এরপর তিনি কল কেটে দেন।

উল্লেখ্য- গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকতের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান নিহত হন। অভিযোগ রয়েছে কোন রকম কারণ ছাড়াই তল্লাশীর জন্য গাড়ী থামিয়ে লিয়াকত মেজর সিনহাকে কোন কথা বলতে না দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করে। পরে তাকে অহত অবস্থায় পৌনে একঘন্টা ফেলে রাখে মৃত্যু নিশ্চিত করে।  গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের তদন্তে উঠে এসেছে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বিশেষ করে টেকনাফের বির্তর্কিত ওসি ও জেলার এসপির নির্দেশ পেয়েই ইন্সপেক্টর লিয়াকত সেনাবাহিনীর সাবেক মেজরের পরিচয় জানার সত্বেও তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।

এসব বিষয়ে জানতে সোমবার দিনভর টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের সরকারী মোবাইল নাম্বার অসংখ্যবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ বা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি। সর্বশেষ রাত ১১টার পর আবারও ফোন করা হলে তিনি বার বার কল কেটে দেন।  এরপর প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে ম্যাসেঞ্জারে ক্ষুদ্রবার্তা পাঠানোর পরও সাড়া পাওয়া যায়নি।