অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কারাবন্দি ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ বরখাস্ত

0
.

টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহাছড়ায় সেনাবাহিনীর মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাবন্দি টেকনাফ থানার কুখ্যাত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও সহযোগী ইন্সপেক্টর লিয়াকতসহ ৭ পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত হওয়া পুলিশের মধ্যে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং জেলে যাওয়া অবশিষ্ট ৫ জনকে পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন।

এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, যাহার সিআর মামলা নম্বর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ) মামলায় টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার জেলা পুলিশের সদস্য, ৭ আসামীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ অবহিত হয়। এরপর প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদেরকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এবং বাকী ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন ও মোঃ শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী সহ ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

গত ৬ আগস্ট টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আদালত নম্বর-৩) এর বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন এর আদালতে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়া ৭আসামী সারেন্ডার করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সকলকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে একই আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামী প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিত কে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকী ৫ আসামীকে ২ দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।