অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রাণ ফিরে পেলো সিটিসেল

0
download
.

দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেনার দায়ে তরঙ্গ বন্ধ করে দেওয়ার ১৭ দিন পর রবিবার (৬ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিচালক ইয়াকুব আলী ভূইয়া।

বিকেলে বিটিআরসি কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সংস্থার পরিচালক ইয়াকুব আলী ভূইয়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সন্ধ্যায় ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে এসে তরঙ্গ ফিরিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করে।

সিটিসেল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ইয়াকুব আলী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আমরা তরঙ্গ খুলে দিয়েছি। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, সিটিসেল থেকে সিটিসেলে কল যাচ্ছে। তারা এখন আগের মতোই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।’

এর আগে ৩ নভেম্বর শর্তে সাপেক্ষে সিটিসেল চালু করতে বরাদ্দকৃত তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) ফেরতের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে সিটিসেলকে। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আবারও মোইাবাল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানটির তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে বিটিআরসি।

বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সিটিসেলের বরাদ্দকৃত তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) ফেরতের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন আদালত। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

বিটিআরসি দাবি করছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী দাবি রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং বাকি টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল।

সিটিসেল তাদের হিসাব মতো বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে, প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ স্থগিত করে দিয়েছিল।