আবদুল গফুর হালীর সুচিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক-মারফতি, মাইজভান্ডারি গানের জীবন্ত কিংবদন্তি, গীতিকার ও সুরকার আবদুল গফুর হালীর সুচিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র।
সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, সাধারণ সম্পাদক ভাষা গবেষক সৈয়দ গোলাম নবী, যুগ্ম সম্পাদক অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহিম, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ ভাস্কর ডি কে দাশ (মামুন), মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আশরাফ খান, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ভাষা গবেষক অধ্যাপক এম আর মাহবুব, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এ বি এম ফয়েজ উল্লাহ, কবি আরিফ চৌধুরী, কবি দীপালী ভট্টাচার্য্য প্রমুখ সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রামের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নাট্য আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তি আবদুল গফুর হালীর সুচিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন, আবদুল গফুর হালী আঞ্চলিক, মারফতি, মাইজভাণ্ডারি, বিচ্ছেদী সহ বিভিন্ন ধরনের ২ হাজারেরও অধিক গান রচনা ও সুর দিয়ে লোকসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। যাকে নিয়ে গবেষণা হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। সঙ্গীতের এই দিকপাল বর্তমানে খুব অসুস্থ। ৮০ বছরের প্রবীণ এই সংগীতজ্ঞ প্রথমে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তাঁকে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সুনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির আর্থিক অনুকূলে তাঁর চিকিৎসা সেবা চলছে। যিনি দেশ, জাতি ও বাংলা সাহিত্যের লোক ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন সেই সংগীতের সাধককে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে এই শিল্পীকে সুস্থ করার জন্য তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।