অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যা ও গুম সরকারের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিচার বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় মানুষকে হত্যা ও গুম করা আজ সরকারের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

তিনি আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে দলীয় ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। স্বাধীনতার চেতনাকে বিনষ্ট করে দিয়ে তারা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ক্ষমতাসীনরা এখন ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং জিয়া পরিবারকে খাটো করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া তাদের একমাত্র প্রতিধন্ধী। জিয়াউর রহমান ৪০ বছর আগে শাহাদাত বরণ করার পরও তাঁর অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয়তাকে ক্ষমতাসীনদের এতই ভয় যে আজও তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার সাহস রাখে না। তারা শত শত নেতাকর্মীকে গুম করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। দেশে এখন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিতে হবে।

.

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। চারদশক আগে চারদিকে হতাশা, ক্ষোভ, এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ জনগণের মাঝে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করে পথচলা শুরু হয় বিএনপির। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় সীমাহীন প্রতিকূল পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হয়েছে। জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি মুক্তির সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও শত জুলুম নির্যাতন করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এক-এগারোর সরকারের সময়ে বিএনপির ওপর যে মামলা, হামলা, জেল, জুলুম শুরু হয়েছিল তার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা, গুম, খুনের শিকার হয়েছেন। শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জরিত। মেজর সিনহাকে পুলিশের গুলিতে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির এত দিনের করা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা মেজর সিনহা হত্যার বিচার চাই, সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার একদিন এ দেশের মাটিতে হবে সে আস্থা এবং বিশ্বাস রাখি। এখন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের
শাসন ফিরিয়ে আনাই হবে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস’র পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ শহীদুল আলম শহীদ, জেলা তাতী দলের আহবায়ক নুরুল আবছার, জেলা শ্রমিক দলের সি: যুগ্ম সম্পাদক হাসান জাকারিয়া, জেলা যুবদলের সি: যুগ্ম সম্পাদক
মোজাম্মেল হক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজুল কবীর ফজলু।