অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুজনের কান্ডে হতবাক নগরবাসী!

0
.

হকার উচ্ছেদের নামে সিটি কর্পোরেশনের সেবক পরিচয়ে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের মারমুখি আচরণে হতবাক নগরবাসী।  প্রকাশ্যে খিস্তি খেউড় ও হকার নেতার শার্টের কলার চেপে ধরে মুখে ঘুষি মারতে যাওযা ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় বইছে।

রবিবার নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা সুজন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হকারদের গালাগাল ও মারমুখি আচরণ করেন।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন হকার্স নেতাকে কলার ধরে ঘুষি মারতে চেষ্টা করছেন খোরশেদ আলম সুজন। অন্যরা তাকে সেখান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

.

এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ফেসবুকে। অনেকে বলছেন, একজন প্রশাসক কিভাবে অন্যের উপর হাত তোলে বা তুলতে চেষ্টা করে।

সূত্র জানায়, রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাঝিরঘাট সড়ক পরিদর্শন শেষে নিউ মার্কেট মোড়ে আসেন চসিক প্রশাসক সুজন। এসময় গাড়ি থেকে নেমে হকার্সদের গালাগালি করতে থাকেন তিনি। সেখানে হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে চসিক প্রশাসক সুজন আবদুল বাতেন নামে এক হকার্সকে কলার ধরে ঘুষি মারতে এগিয়ে যান। এ সময় ঘুষি মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার কথাও বলেন চসিক প্রশাসক। পরে আশপাশের মানুষজন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন।

চট্টগ্রামের একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ভিডিওটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্নজন এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকে।

শহীদ ইকবাল নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, দেশের আইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থাকতে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সন্ত্রাসী সুলভ আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। আসলে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না প্রবাদটি যথার্থই।

.

এ বিষয়ে সম্মিলিত হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন মিলন বলেন, চসিক প্রশাসক আমাদেরকে দোকান করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছি। বিকেলে তিনি এসে হঠাৎ সবাইকে গালাগালি করেছেন। আবদুল বাতেন নামে এক হকার্স নেতাকে কলার ধরে মারতে চেয়েছেন। আমরা তো নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করছি না।

আবদুল বাতেনকে জুতা চোর উল্লেখ করে চসিক প্রশাসক সুজন বলেন, হকার্সদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে তারা বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করবে এবং রাস্তায় দোকান বসাবে না। কিন্তু তারা সেই কথা রাখেনি। আর যাকে মারতে চেয়েছি সে জুতা চোর। জুতা চোরকে না মেরে কি করব?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজহাতে আইন তুলে নেওয়াটা সমীচিন নয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালাগালি এ ধরনের রাজনীতিবিদ থেকে কেউ আশা করে না। দেশে আইন আছে। আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে বিষয়টি আরো সুন্দর হতো।