অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ধামরাইয়ে জমিজমার বিরোধে ব্যবসায়ীকে মারধর, আদালতে মামলা

0
.

ঢাকার ধামরাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে মো: ইব্রাহীম নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ না নেয়ায় গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ধামরাই থানায় এন্ট্রি করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার জুডিশিয়াল আদালতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।  ভুক্তভোগী মো: ইব্রাহিম ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল এলাকার বাসিন্দা।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, সাইফুল ইসলাম রতন (৪৭), সে পৌর এলাকার কুমড়াইল এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শাহীন মিয়া (২৪), সে ধামরাই পৌরসভার কালিয়াগাড় এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। আশরাফুল আলম টুক্কু (৪৫) সে পৌর এলাকার কুমড়াইল এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই ধামরাই ঢুলিভিটায় পল্লীবিদ্যুতে বিল দিতে যান ভুক্তভোগী। এসময় বাসস্ট্যান্ডের মসজিদে দুপুরের নামাজ শেষ করে রিকশার জন্য অপেক্ষাকালে অভিযুক্তরা এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় কাছেই থাকা ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দীপক সাহা তাকে উদ্ধার করে আহতাবস্থায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আবারো ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ভুক্তভোগী ইব্রাহিম।

এতে আরো বলা হয়, চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী ইব্রাহিম। কিন্তু প্রায় দুই মাস ঘুরেও থানায় মামলা না করতে পেরে আদালতে মামলা করেন তিনি।

ভুক্তভোগী মো: ইব্রাহিম বলেন, আমার সঙ্গে অভিযুক্তদের পূর্বে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। এর জেরে পরিবহন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম রতন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী শাহিন ও আশরাফুল আলম টুক্কু আমার উপর হামলা চালায়। পরে আমি চিকিৎসা শেষে মামলা করতে যাই। কিন্তু তারা মামলা নেয় না। পরে আমি আদালতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি জানান, আসামি শাহীনের নামে এর আগেও দুটি মামলা, আশরাফুল আলম টুক্কুর নামে দুটি মামলা ও সাইফুল ইসলাম রতনের নামে পূর্বের চারটি মামলা রয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।