অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এ বছর বার্ষিক পরীক্ষা‌ও হচ্ছে না

0
.

মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা‌ও হচ্ছে না। এর পরিবর্তে অর্জিত শিখন ফল মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩০ দিনে শেষ করতে পারে এমন একটি সিলেবাস শেষ করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে অর্জিত শিখন ফল মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। তবে যারা অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উঠবে, অর্থাৎ যাদের জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাদের গ্রেডিং ছাড়াই সনদ দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনও পরীক্ষা নয়, মূল্যায়ন যেটা করছি তাতেও যেন শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করে। বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাসটি করা হচ্ছে। যারা এগুলো সম্পন্ন করেছে, তাদের রিভিশন হবে। আর যারা পারেনি তারা এটা করে নিতে পারবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন একটি সিলেবাস এনসিটিবি প্রণয়ন করেছে। শিগগিরই ওই সিলেবাস প্রকাশ করা হবে। ওই সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে জানা যাবে শিক্ষার্থীর কোথায় ঘাটতি রয়েছে। যা পরবর্তী ক্লাসে গিয়ে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়নের যেকোনও প্রভাব থাকবে না। এই মূল্যায়নটার মাধ্যমে যেন কোনও চাপ সৃষ্টি করা না হয়। এই মূল্যায়ন শুধু আমাদের বোঝার জন্য যে শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে। সেগুলো পরের ক্লাসে কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করবো। কোনও গ্রেডিং হবে না। সবাই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে।’

প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি রয়েছে।

ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।