অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীর ত্রিপুরা পল্লীবাসী পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৪টি পাকা ঘর

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের সোনাই ত্রিপুরা পল্লীতে বস-বাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চার দরিদ্র পরিবারের নিকট পাকা গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসময় ত্রিপুরা পল্লীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, ড্রয়িং খাতা, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন ব্যাট ইত্যাদি শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।

এর আগে গত জুলাই মাসে হস্তান্তর করা হয়েছিল ৬টি পাকা ঘর।

আজ সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এসব উপহার সামগ্রী উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হাটহাজারী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসানুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, প্রবীন সাংবাদিক কেশব কুমার বড়ুয়া,ফরহাদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ মিয়া তালুকদার, প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবর, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইমরান প্রমূখ।

এসময় ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দা প্রেম কুমার ত্রিপুরা, জৈগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা, নয়ন বিকাশ ত্রিপুরা ও যতন কুমার ত্রিপুরার নিকট ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পেয়ে প্রেম কুমার ত্রিপুরা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, পাহাড় ঘেঁষা জরাজীর্ণ ঘরে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এতদিন জীবন যাপন করছিলাম। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে রাতে স্ত্রীকে নিয়ে পাহাড়ায় থাকতাম কখন পাহাড় ধসে পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। ইউএনও স্যারের কারণে আমরা ঘর পেয়েছি। বাচ্চারা লেখাপড়ার স্কুল পেয়েছে। প্রার্থনার জন্য মন্দিরসহ যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এখন আর অবহেলিত নই। স্যারের জন্য ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া করছি।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারে আমার গ্রাম আমার শহর গড়ার যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় হাটহাজারীর দীর্ঘদিনের অবহেলিত পাহাড়ী জনপদ সোনাই ত্রিপুরা পল্লীতে গত কয়েকবছর ধরে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। উন্নয়নের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

ইউএনও রুহুল আমীন বলেন’ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার স্বচ্ছতা ও সততার সাথে প্রাপ্যদের কাছে পৌঁছে দেয়াই আমার কাজ। ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হওয়ায় আমি খুশি। এক সময় অবহেলিত থাকলেও এখন তারা সব কিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। পড়া লেখার মান উন্নয়ন হচ্ছে। নির্বিঘ্নে তারা গাড়িতে করে নিজ ঘরে যেতে পারছে। সরকার তাদের জন্য সব কিছু করছে যাতে কেউ অবহেলিত না থাকে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই মোনাই ত্রিপুরা পাড়ায়ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৬টি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছিল।