অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আঞ্চলিক গানের রাণী শেফালী ঘোষের আজ ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

0
.

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী শেফালী ঘোষের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি।

‘ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দেওয়ানা’, ‘শঙ্খনদীর মাঝি আঁই তোয়ার লগে রাজি’, ‘সূর্য উডের অভাই লাল মারি’, ‘নাতিন বরই খা’, ‘ও বানু বানুরে’, ‘ভাঙা গাছর নয়া টেইল’, ও ‘পালে কী রং লাগাইলিরে মাঝি’র মতো অসংখ্য গান গেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছেন তিনি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্তে।

শেফালী ঘোষ ১৯৪১ সালে বোয়ালখালীর কানুনগো পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কৃষ্ঞ গোপাল ঘোষ ও মা আশালতা ঘোষের আদুরে কন্যা শেফালী ২০ বছর বয়সে চট্টগ্রামে আসেন গান শিখতে।

এরপর ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া, ওস্তাদ জগদানন্দ বড়ুয়া, ওস্তাদ তেজেন সেনের কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি। শেফালী ঘোষ বিয়ে করেন বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার ননী গোপাল দত্তকে।

শুধু চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানই নয়, বাংলা, ইংরেজি, মাইজভাণ্ডারী, ভজন, কীর্তন, দেশের গানেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। ১৯৭০ সালে টিভিতে প্রথম গান পরিবেশন করেন।

বসুন্ধরা, মধুমিতা, সাম্পানওয়ালা, মালকাবানু, মাটির মানুষ, স্বামী, মনের মানুষ, বর্গী সহ প্রায় ২১টি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে কণ্ঠ দিয়েছেন। প্রায় ২ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

শেফালী ঘোষ মুক্তিযুদ্ধের সময় গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তার দুই হাজারেরও বেশী গান রয়েছে। তার গানের অ্যালবামের সংখ্যা প্রায় ১৫০। এছাড়া তিনি ২০টি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন।

শেফালী ঘোষ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। লাভ করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক পদক (১৯৯০), বাংলা একাডেমির আজীবন সম্মাননা (২০০২), শিল্পকলা একাডেমি পদক (২০০৩) ও একুশে পদকে (২০০৬, মরণোত্তর)।