চবিতে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট এলাকায় নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিয়াজ ইরফান কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগে সহ-সম্পাদক বলে জানান চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। তিনি জানান, দিয়াজ ইরফানের লাশ উদ্ধার করার কথা শুনেছি। তবে কিভাবে মারা গেছে এখনো জানি না।
জানাগেছে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মা জাহিদা আমিন চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পেশাজীবি লীগের সহ সভাপতি। ইরফানের গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ নং গেইটের একশ দুরে একটি ৪ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সপরিবারে থাকেন তারা। ঘটনাস্থল থেকে একজন সাংবাদিক জানান, ঘটনাস্থলে গোয়েন্দা পুলিশ এবং হাটহাজারী পুলিশ পৌছলেও রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত দিয়াজের লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের ধারণা দিয়াজ ইরফান আত্মহত্যা করেছেন।
হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেছে। তিনি জানায়, ২নং গেট এলাকায় তার নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে লাশ ঝুলতে দেখা যায়।
জানা গেছে, বাসার সিলিং ফ্যানের সাথে তার লাশ ঝুলে আছে। তবে কী কারণে এ মৃত্যু তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানা পুলিশ।
এদিকে চবি ছাত্রলীগের একটি সুত্র জানান, মাসখানেক আগে চবির একটি টেণ্ডার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ টেণ্ডারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে টেণ্ডারটি বাতিল করে দেয়। দিয়াজ ইরফান ছিল ছাত্রলীগের (একাংশের) টেণ্ডারবাজির বিরুদ্ধে। এ কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া টেণ্ডারের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা জামশেদ গ্রুপের ছেলেরা দিয়াজ ইরফানের বাসায় ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এব্যাপারে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ এবং জেলার আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে বিচার চেয়েও না পেয়ে মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। হয়তো এসব কারণে দিয়াজ আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছেন ছাত্রলীগের একাংশ।
কেন এই কাজ করল মানতে পরচিনা