অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

যেখানে নির্বাচনই হয়নি সেখানে বর্জন কিংবা প্রত্যাখানের কি আছে? আমীর খসরু

0
.

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন যেখানে নির্বাচনই হয়নি সেখানে ভোট বর্জন কিংবা প্রত্যাখানের প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন আজ চট্টগ্রামে কোন নির্বাচনই হয়নি। নির্বাচনের নামে হামলা খুন সহিংসতা ভোট ডাকাতি হয়েছে। আর সন্ত্রাসীদের মিলন মেলা ঘটেছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা।

আজ বুধবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন- নির্বাচন কমিশন হচ্ছে কতগুলো তাবেদার সেখানে তাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট চুরি ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য। আমি তাদের বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন-আমরা মরেন করেছিলা একটি উৎসবমূখর পরিবেশে একটি নির্বাচন করবো। আমরা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলাম। কিন্তু নির্বাচনটা আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের হয়নি।

নির্বাচন কমিশনকে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছিলাম। ইভিএম মেশিনকে সুরক্ষা, এনআইডি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও বহিরাগতদের ঠেকানো। কিন্তু সেটা হয়নি, আমাদের নির্বাচন হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে।দিনভর বিভিন্ন সেন্টার ঘুরে দেখেছি আমার ভোটার, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। নারী এজেন্টদের শাররিক নির্যাতন করে তাদের আহত করেছে।  প্রতিটি সেন্টারে হাজার হাজার বহিরাগতদের অবস্থান দেখেছি। ২০০ নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। আজকের এ নির্বাচন নির্যাতনে পরিণত হয়েছে।

প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা কোন সহযোগিতা পায়নি। দিনভর কেন্দ্রে বহিরাগত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাজত্ব ছিল। প্রতিটা কেন্দ্রের বাইরে তারা হাজার হাজার বহিরাগতদের জড়ো করেছে। এবার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তাদের সে চেয়ারা আবার জাতির সামনে উম্মোচিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম চৌধুরী, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।