অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কোনো স্বৈরাচার সরকারই ক্ষমতা ছাড়ে না, ছাড়াতে হয় : মির্জা আব্বাস

0
.

সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ছাড়া বাংলাদেশের বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কেন এত মামলা, হত্যা-গুম? শুধুমাত্র সরকার টিকে থাকার জন্য এসব করছে। আমরা বলতে চাই, কোনো স্বৈরাচার সরকার কখনো ক্ষমতা ছাড়ে না, তাকে ক্ষমতা ছাড়াতে হয়। কেউ আপনাকে অধিকার দেবে না, অধিকার আদায় করতে হবে। আমাদের হলো আদায়ের বিষয়, জনগণ ফুঁসে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ, এই জনগণের দাবির তোড়ে-আন্দোলনে একদিন সকল স্বৈরাচার সরকারের মতো এই সরকারেরও পতন হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ পদক এই সরকার দেয় নাই। এই পদক স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের জনগণ ভালোবেসে জিয়াউর রহমানকে দিয়েছে। আর আপনারা (সরকার) আইন দেখান।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দিয়ে লাভ হবে না মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, এ দু’বছরের সাজা দিয়ে আপনারা কী অর্জন করলেন। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে অনেকে মনে করলো বিএনপি শেষ। বিএনপি শেষ হয়ে যায়নি, এখনো আছে। তখন বিএনপির হাল ধরেন বেগম জিয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমান হাল ধরবেন।

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করলে হাত পুড়ে যাবে মন্তব্য করে সমাবেশের বিশেষ অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। এখন ঘরে ঘরে খুনী, মাফিয়া, দখলদার, ধর্ষণকারী। আমি বলবো জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। আর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলার সাজা দেয়া হয়েছে। এই সাজা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এই সরকার জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায় কিন্তু তা কখনো হবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।