অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লোহাগাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ: শিবির ছাত্রদল সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও প্রবাসীর জগাখিচুড়ি!

0
.

দলীয় প্রতীক নৌকার বিরোধিতাকারী এবং নিজের গ্রুপ ভারী করতে বিএনপি- জামায়াত থেকে লোক ভাড়া এনে দলের পদ-পদবীতে স্থান না দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পষ্ট নির্দেশনাকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

গত উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতাকারী, চিহ্নিত ছাত্রশিবির ক্যাডার ও রাজপথে ছাত্রদলের মিছিলে নেতৃত্বদানকারী, নারী নির্যাতন মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মোটরসাইকেল মেকানিক ও দুবাই প্রবাসীসহ বিতর্কিত ব্যাক্তিদের মুল নেতৃত্বে এনে গত ২৬ জানুয়ারী মধ্যরাতে ফেসবুকের মাধ্যমে লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে নানা বিতর্কের জন্ম দিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বিগত লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচনে এলডিপির সভাপতি আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের নির্বাচনী ক্যাম্পে নীতিনির্ধারনী বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবঘোষিত কমিটির সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন।

অথচ ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর নুরুল কবির সলিলকে আহবায়ক, আবছার উদ্দিন, জামিল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান মিজানকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। মাত্র ৪৭ দিনের ব্যবধানে এক উপজেলায় দুইটি কমিটিরই অনুমোদন দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। আর এতে পুরো উপজেলাজুড়ে দলের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা বিতর্ক, চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা। চলছে নানা পাল্টা-পাল্টি কর্মসুচিও। ফলে, দুই কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেরও আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের নির্যাতিত, ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যাক্তিদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও এক নাম্বার সহ-সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক লেখালেখি করে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করা মিজানুর রহমান মিজান জানান, ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক শীর্ষ ক্যাডার সাতকানিয়ার বহুল আলোচিত আহমদু বাহিনীর অন্যতম প্রধান সহযোগী। সাতকানিয়ায় আহমদুর প্রতিষ্ঠিত বিতর্কিত ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন ‘টাইগার ক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সে। পরে শিবিরের শীর্ষ ক্যাডার আহামদু বিএনপিতে যোগ দিলে হুমায়ুনও তার সাথে বিএনপিতে যোগ দেয়। বনে যায় রাতারাতি ছাত্রদলের হর্তাকর্তা। সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি এহতেশামুল আজিমের সাথে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিলে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে হুমায়ুন। এসব মিছিলের ছবি ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরালও হয়েছে। এছাড়াও তার আদি বাড়ী সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বহু আওয়ামী নেতাকর্মীদের নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত হুমায়ুন নিজ গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে লোহাগাড়া উপজেলার দক্ষিণ সুখছড়ি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে আশ্রিত হন। পরে ২০১৮ সালের দিকে বর্তমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আরিফুর রহমানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ ভাগিয়ে নেন হুমায়ুন। যিনি বহু আওয়ামী নেতাকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে ঘৃনিত হয়ে নিজ গ্রাম থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর শ্বশুর বাড়িতে আশ্রিত এমন একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কতটুকু নিরাপদ? আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার জবাব চাই।

ঘোষিত কমিটির এক নম্বর সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ফরিদ ওরফে এলজি ফরিদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলায় যাবজ্জীবন সাজার আদেশের কপি।

এদিকে, ঘোষিত কমিটির সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজনের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে আট-ঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছিলেন সুজন। এ নির্বাচনে লোহাগাড়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের অন্যতম নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। নির্বাচনের পরে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো নৌকার বিরোধীতাকারীর তালিকায় সুজনের নাম রয়েছে ২৮ নাম্বারে। সদ্য সমাপ্ত লোহাগাড়া সদর ইউপি নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করার অভিযোগ রয়েছে সুজনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন পরবর্তী গত ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলীয় প্রতীক নৌকা বিরোধী ভূমিকায় রিদওয়ানুল হক সুজনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দলের হাজারো নেতাকর্মীর সামনে প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দীন নদভী।

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও সুজনের বিরুদ্ধে বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা তৌকির হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততারও অভিযোগ তুলেছেন নিহত তৌকিরের বৃদ্ধ মা আয়েশা বেগম ও বড় ভাই মো: আলমগীর। তাঁরা গত ২০২০ সনের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৌকির হত্যার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ভূঁয়া খালাতো ভাই সেজে তৌকিরের লাশ গ্রহণের অভিযোগও আনেন সুজনের বিরুদ্ধে। এসময় সুজনসহ এ হত্যাকান্ডে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছিলেন তৌকিরের পরিবার।

ঘোষিত কমিটির এক নাম্বার সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ফরিদ ওরফে এলজি ফরিদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার অভিযোগ।

গত ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারী আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। এছাড়াও অস্ত্র, পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও ৪/৫ টি মামলা।

কমিটির তিন নাম্বার সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন বেলাল কোন সময় আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। পেশায় মোটরসাইকেল মেকানিক। চার নাম্বার সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম জিয়ার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

কমিটির দুই নাম্বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন রকি দুবাই প্রবাসী। সে তিন মাস পূর্বে দেশে এসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নিয়ে আবার দুবাই ফিরে যান। কমিটির অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ ও বিতর্ক। মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার সাথে ঘনিষ্টতার কারণে তারা তিনজনই স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন- এমন অভিযোগ ৪৭ দিন পূর্বে গত ১০ ডিসেম্বর অনুমোদিত কমিটির আহবায়ক নুরুল কবির সলিল ও যুগ্ম আহবায়ক আবছার উদ্দিনের।

অন্যদিকে, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দীন নদভী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিনকে পাশ কাটিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিরুদ্ধে। তাছাড়া কোন মতামতও নেয়া হয়নি লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকেও। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে সন্তুষ্ট করতেই তাঁর অনুসারীদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে একতরফাভাবে এ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে লোহাগাড়া উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুটি কমিটি অনুমোদন করা হয়নি। আমরা অফিসিয়ালি সুজন- হুমায়ুনের নেতৃত্বাধীন কমিটিই পাবলিষ্ট করেছি।

কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের মতামত নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে এদের কোন মতামত নেয়া হয়নি। দক্ষিণ জেলা কমিটিকে থাকা লোহাগাড়ার নেতাদের সুপারিশে এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কয়েকজনের ফেসবুক পোষ্টে দেখেছি ; আবার অনেকেই আমার মেসেঞ্জারেও পাঠিয়েছে।

সভাপতি সুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে, এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিষয়টি দেখবো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু মুঠোফোনে বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক ৪৭ দিনের মাথায় এক উপজেলায় দুটি কমিটি ঘোষণার বিষয়ে আমি অবগত নই। কমিটিতে নৌকার বিরোধিতাকারী, শিবির ক্যাডার, নারী নির্যাতন মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি স্থান পাওয়ার বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। এ মুহুর্তে আমি একটি মিটিং এ আছি জানালেন আফজালুর রহমান বাবু।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সন্তান হিসেবে লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণার বিষয়ে আমার কোন মতামত চাওয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

আওয়ামী লীগের দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দীন নদভী বলেন, দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমার মতামত নেওয়া উচিত ছিল জেলা কমিটির। কিন্তু আমার কোন মতামত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ফেসবুকে কমিটি দেখেছি মাত্র। বিপ্লব বড়ুয়াকে সন্তুষ্ট করতেই মধ্যরাতে ফেসবুকে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জানতে পারলাম নৌকার বিরোধিতাকারী, ছাত্রলীগ নেতা হত্যার সাথে জড়িত, সাতকানিয়ার চিহ্নিত শিবির ক্যাডার, নারী নির্যাতন মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মোটরসাইকেল মেকানিকসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে মোটা অংকের লেদদেনও হয়েছে বলে আমি শুনেছি।

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকে কোন মতামত নেয়া তো দুরের কথা জানিও না কমিটি দেয়া হচ্ছে। সাতকানিয়া থেকে শিবির ক্যাডারকে ভাড়া করে এনে লোহাগাড়ায় নেতা বানানো হচ্ছে বিষয়টি বুঝলাম না। আর উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা করা ও এলডিপির সভাপতির পক্ষে ভুমিকা পালনকারী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা কর্ণেল অলির এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয় কি? জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রশ্ন রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী।