অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চান্দগাঁওয়ে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে হাতাহাতি, ৩০ মুসল্লি আটক

0
.

নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন চান্দগাঁও আবাসিক বি-ব্লক জামে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ ৩০ জনকে থানায় ধরে নিয়ে গেছে।

লকডাউনে সরকারী নিষেধাজ্ঞা না মেনে বুধবার রাতে কয়েকশ মুসল্লি মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।  এতে পুলিশের ২/৩ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। পরে পুলিশ নামাজ পড়তে আসা ৩০ জনকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজের প্রথম দিন এই মসজিদে কয়েকশ মুসল্লি নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের ভীতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকশ মুসল্লি মসজিদের গেইটে অবস্থান নিয়ে গেইট বন্ধ পেয়ে হৈ চৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে এক যুবক একটি মঈয়ের সাহায়ে উপরে উঠে মসজিদের কাঁচ ভেঙ্গে ভীতরে প্রবেশ করে দরজা খুলে দিলে মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকে যায় এবং তারা নামাজ আদায় করে।

.

এদিকে বুধবার রাতেও মুসল্লিরা নামাজ পড়তে জড়ো হলে আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়।  এতে পুলিশের সাথে হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কি হয়।

চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সদস্য ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সরকারি আদেশ মেনে মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন খাদেমসহ স্টাফদের নামাজের ব্যবস্থা করে সবাইকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুরোধ করেছি। এমনকি আমরা কমিটির লোকজনও ঘরে নামাজ পড়ছি। কিন্তু কিছু উশৃংখল লোকজন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে শত শত মানুষকে এনে অস্থিতিশীল করছে। প্রথম তারাবির দিন মসজিদের তালা ভেঙে মসজিদে প্রবেশ করেছ। দ্বিতীয় দিনও জোর করে শত শত লোক প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। কিন্তু এসময় ওসির সাথে ধস্তাধস্তি হয়, পুলিশের গাড়িতে ঢিল মারে।’

চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘সরকারি আদেশ অমান্য করে মসজিদে ব্যাপক লোকজন প্রবেশ করা নিয়ে কমিটির সাথে মুসল্লীদের সমস্যা হয়। সমিতির অনুরোধে থানা পুলিশ সেখানে গেলে উত্তেজিত মুসল্লীরা পুলিশের ওপর হামলা করতে চায়। ঢিলও ছুড়ে। পরে সেখান থেকে ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে ২৫ জনকে পরিবারে জিম্মায় দেয়া হয়। ৫জনকে আটক করা হয়েছে।