অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আদালতে হত্যা মামলা করলেন দিয়াজ ইরফান পরিবার

0
13001183_167236820337280_111966323755518948_n
নিহত দিয়াজ ইরফান।

থানায় মামলা না নেয়ায় অবশেষে আদালতের দারস্থ হলেন রহস্যজনক নিহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর পরিবার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।  এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বলে আদালত সুত্র জানায়।

নিহত দিয়াজের মা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পেশাজীবি লীগের সহ-সম্পাদক জোবায়দা আমিন চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে দিয়াজের বড় বোন এডভোকেট জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নিপা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর রবিবার রাতে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকায় চার তলা ভবনের ভাড়াবাসার নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্তবস্থায়  কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফানের লাশ পাওয়া যায়। ঐ রাত দেড়টায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের পরিবারে দাবী চবির টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হত্যার পর দিয়াজকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয় নি।

বুধবার পুলিশ জানায়, ফরেনসিক বিভাগ থেকে দিয়াজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। করেছেন তাই এ ব্যাপারে কাউকে আসামী করে মামলা হবে না। এর পর আজ দুপুরে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার পরিবার।

দিয়াজ বিশ্ববদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে দাবী করেন পরিবার এবং চবি ছাত্রলীগের একাংশ।

এদিকে দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানিয়ে গত ৪ দিন ধরে সড়ক অবরোধ শাটল ট্রেন বন্ধ এবং সভা সমাবেশ বিক্ষোভ চালিয়ে আসিছে ছাত্রলীগের অংশটি। আজ তারা শাটল ট্রেন বন্ধের পাশপাশি চট্টগ্রাম শহর থেকে চবি ক্যাম্পাসগামী শিক্ষক বাসও বন্ধ করে দেন।

সকালে ফতেয়াবাদ এলাকায় শিক্ষক বাসের চালক ও সহকারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।