অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

করোনাকে শিক্ষিত করার জন্য বইমেলা খোলা রাখা হয়েছে!

0
.

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা লকডাউনের মধ্যেই বইমেলা চালু রাখা নিয়ে সমালোচনা থামছেই না। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা রাখা হচ্ছে। যে সময়টায় এমনিতেও প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ থাকেন সবাই। লকডাউনের প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে দেখা যায় হাতেগোনা লোকজন মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরছেন। অনেক স্টল-প্যাভিলিয়নই ক্রেতাশূণ্য। বেশকিছু স্টল বন্ধও পাওয়া যায়।

লকডাউনের মধ্যে বইমেলা চালু রাখার বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তীব্র সমালোচনা, সাথে ঠাট্টা-তামাশাও। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন রম্য গ্রুপ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকাশক, সাংবাদিক, আইনজীবী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ধরনের ট্রলে অংশ নিয়েছেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নাসের আলম ফেসবুকে তার ছোট্ট সন্তানের গালে হাত দেয়া একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন -করোনায় লকডাউন, কিন্তু বইমেলা চালু, ভীষণ চিন্তায় নিমগ্ন!

প্রকাশক সাঈদ বারী একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে টিভিস্ক্রলে লেখা- লকডাউনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না, ১২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।

ছবিটি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেনঃ বাংলা একাডেমি বইমেলাটাকে ছেলেখেলায় পরিণত করেছে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান লিখেছন- বইমেলা কী খুবই জরুরি? এই করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের মধ্যেও বইমেলা চালু থাকা লাগবে? রাবিশ!

তিনি আরো লিখেছেন- বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিয়ে, বইমেলা চালু করে, বিসিএস ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লাখ লাখ মানুষ জড়ো করে, আনন্দ-উল্লাস ও হরতাল-মারামারি করে, স্বাস্থ্যসেবার যথাযথ উন্নয়ন না করে সবকিছু লেজেগোবরে করে হুট করে প্রস্তুতিহীন ‘লকডাউন’ খুব একটা কাজে আসবে না। এখন ‘লকডাউন’কে বিনোদন মনে না করলে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আহমেদ সিয়াম নামে একজন লিখেছেন- সব বন্ধ, কিন্তু বইমেলা খোলা! করোনাকে শিক্ষিত করার জন্য বইমেলা খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে ঢাকার একটি সংবাদপত্র সংবাদ শিরোনাম করেছে, বইমেলা চালু কেন, বইমেলাতেই প্রশ্ন।