অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাউজান পৌর কাউন্সিরের গুলিতে যুবলীগ নেতার প্রবাসী ভাই আহত

0
.

চট্টগ্রামের রাউজানে মসজিদ পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলের আলমগীর আলীর গুলিতে সাইফ উদ্দিন খান সাবু নামে এক প্রবাসী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরার শেখ ইব্রাহিম জামে মসজিদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেছেন, ‘আমার ভাইকে কাউন্সিলর আলমগীর আলী গুলি করেছে।’ তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাউজান পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। গুলিবিদ্ধ সাইফুদ্দিন খান সংযুক্ত আরব আমিরাত থাকতেন। দেশে ফিরে মুরগির খামার ব্যবসায়ে যুক্ত হন। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রবাসী ও জহুর আহমেদের ছেলে শেখ ইব্রাহিম মসজিদের জন্য একটি উন্নতমানের খাটিয়া দেন। এই খাটিয়া ফেরত দেওয়ার পক্ষে ছিলেন রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।

.

সর্বশেষ বুধবার বিকেল ৩টায় মসজিদে চলমান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে এলাকাবাসীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান আবদুল্লাহ আল মামুন। একপর্যায়ে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে আবদুল্লাহ আল মামুন, তার সৎ ভাই সাইফ উদ্দিন খান সাবু ও তার ভাতিজা মো. রিদোয়ানের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। গুলি করার বিষয়টি স্থানীয়রা কেউ স্বীকার করেনি।

মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খাটিয়ার দ্বন্দ্বও ছিল। এ ছাড়া মসজিদে টাইলস মিস্ত্রি, ইলেট্রিক মিস্ত্রি ও এসির মিস্ত্রি কাজ করছিল। হঠাৎ মামুনরা এসে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ধাক্কাধাক্কি হয়। গুলি করার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।’

গুলিবিদ্ধ সাইফ উদ্দিন খান সাবুর ছোটভাই আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। আজকে মসজিদ কমিটি নেই, যারা মসজিদটি পরিচালনা করছেন তাদের সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। আলমগীর আলী মসজিদের কোনো অংশ নয়, তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়নি। তিনি হঠাৎ করে এসে বলেন, ‘অনেক হয়েছে, অনেক দিন ধরে কাণ্ডগুলো দেখছি’ উল্লেখ করে গুলি চালান। পরে আমার ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার ভাইকে কাউন্সিলর আলমগীর আলী গুলি করেছে।’

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আলমগীর আলী বলেন, ‘মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ায় মুসল্লিসহ স্থানীয়দের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। গুলির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।’

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘পশ্চিম গহিরায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি। এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যত বড় প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক, গুলি করার সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যায়কারীর বিষয়ে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’