অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানবিক বিবেচনায় আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের নিয়োগ দিয়েছি: রাবি উপাচার্য

0
.

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে’ ১৪১ জনের নিয়োগ দিয়েছেন। শনিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের পর থেকে ২০২১ পর্যন্ত এ আট বছরে ক্যাম্পাসে কোনো নিয়োগ হয়নি। আমরা নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, হঠাৎ করে এর মধ্যে করোনা চলে আসে। পরবর্তীতে শিক্ষকদের একটি মহলের অপ্রপ্রচারের কারণে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আসে। কিন্তু আমি মনেকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য শুধু এ নিয়োগ না, আরো নিয়োগ না দিলে কাজকর্ম ব্যহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ থুবড়ে পড়বে’।

রাবির সদ্য সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ‘এখানে যারা এ নিয়োগটা ডিজার্ভ করে তারাই পেয়েছে। কারণ তাদের প্রত্যেকেই অনার্স-মাস্টার্স পাশ। তাছাড়া তারা আওয়ামী পরিবারেরও সন্তান’।

এদিকে তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউজিসি যে তদন্ত কমিটি করেছে আমরা সে তদন্তের কাজে এখানে এসেছি। আমরা চাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষা এবং গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু। আমরা চেয়েছি স্বল্পসময়ের মধ্যে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার।’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের, শিক্ষাা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে ৬ মে উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ দিনে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। বিতর্কিত সে নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে সেদিন সন্ধ্যায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে এসে বৈঠক করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের সঙ্গে।