অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আন্দোলনের মুখে নয়, আনোয়ারের আবেদনের প্রেক্ষিতেই অব্যাহতি

0
%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%bf-620x330
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

কোন ধরনের আন্দোলন বা দাবি দাওয়ার মুখে সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, মূলত আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ভিসি এ কথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) ফরহাদ হোসেন।

ভিসি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ২৭ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রক্টরের নিকট একটি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তার নামে একটি অভিযোগ উঠায় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের পরিবার আদালতে মামলা করায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি এ পদ থেকে অব্যহতি চান। পরদিন ২৮ নভেম্বর সকালে সে পদত্যাগ পত্রটি হাতে পাবার পর আমরা তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

‘দিয়াজের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্তের আগে বলা যাবে না। যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয় তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে কেউ কেউ এ ঘটনায় রহস্য তৈরি করার চেষ্টা করছে। তার পরিবার যেহেতু আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি আদালতেই নিষ্পত্তি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডি বর্তমানে দিয়াজের বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর আনোয়ারের এ অব্যাহতি সাময়িক না স্থায়ী তা জানা যাবে।

‘তিনি একজন মেধাবী শিক্ষক’ আখ্যা দিয়ে উপাচার্য বলেন, তার অব্যহতি নেয়ার সিদ্ধান্ত একটি সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ইস্যুতে আনোয়ারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। নানা হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও তাকে পিছু হটাতে পারে নি।

এদিকে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় বছরে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, দুটি হল নির্মাণ, সমাবর্তন, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ সহ নানা উদ্যোগের কথাও এসময় জানান উপাচার্য।

এছাড়াও সেশন জট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী জুন মাসের মধ্যেই সেশনজট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন।