অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হুইপ সামশুল ছেলে শারুন ও ভাই নবাবকে গ্রেফতারের দাবীতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

0
.

সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার বির্তকিত পুত্র শারুন চৌধুরীকে চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতা।

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামে মিছিল উত্তর এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় সংসদের পতাকা এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা, কোনটিই এই হুইপ ও তার পরিবারের কারো কাছে নিরাপদ নয়’।

পটিয়ার প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমদকে লুঙ্গি খুলে পেটানোর হুমকি দেয় হুইপ সামসুল হকের ভাই নবাব। এ লাঞ্চরনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুক্তিযোদ্ধার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। মাঠে নামেন আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।

.

এর অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশের ডাক দেয় মুক্তিযুদ্ধের জনতা। একই সময়ে পাল্টা সমাবেশ আহবান করে হুইপ সামসুলে হকের সমর্থকরা। ফলে পুলিশ কোন পক্ষকে জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে দেয়নি।

পুলিশি বাধায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ করতে না পেরে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে। পরে মিছিল নিয়ে জামাল খান, চেরাগী পাহাড়, ডিসি হিল সড়ক হয়ে ওয়াসা পল্টন রোডে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা জনতা রাস্তায় নামেন। তারা মুহুর্মুহু স্লোগানে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনার প্রতিবাদে হুইপ শামসুল ও তার পুত্র শারুন ও ভাই নবাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক মন্ত্রী মরহুম জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসভবনে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশ করেন। ব্যানার পেষ্টুনে লেখা ছিল “বিচ্ছু সামসু জাতীয় বেয়াদব” তাকে এবং তার ছেলে ও ভাইকে গ্রেফতার চাই।”

.

সমাবেশে হুইপের ভাই নবাবের হুমকি পাওয়া অশীতিপর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতিবাজ হুইপের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি। ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি। লুটেরার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি।’

মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব বলেন, ‘পটিয়ার এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুটপাট ও প্রতাপের প্রতিবাদে এবং মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনার নিন্দায় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মাঠে নেমেছেন। দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম শেষ হবে না। একজন মুক্তিযোদ্ধা নিপীড়নকারীর কাছে কখনোই জাতীয় সংসদের পতাকা নিরাপদ নয়, জাতীয় পতাকাও নিরাপদ নয়‌। বঙ্গবন্ধুর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয়।’

.

সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতা নওশাদ মাহমুদ রানা বলেন, বিচ্ছু সামসু ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে আজ এমপি হয়েছে। একজন রাস্তার হকার আজ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন। এ সংসদ থেকে মানুষ আর কি আশা করতে পারি। তথাকথিত সরকারী আওয়ামী লীগার আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। এ চট্টগ্রাম জহুর আহমদের চট্টগ্রাম এ চট্টগ্রাম এম এ আজিজের চট্টগ্রাম। এখানে কোন হাইব্রিট এর টাই হবে না।

সমাবেশে যোগ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের হুইপ এর পদ থেকে বহিষ্কার, আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সমাবেশের অন্য আলোচকগণ প্রগতি ও অসম্প্রদায়িকতার শক্তি বঙ্গবন্ধুর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে হুইপ ও তার পুত্র এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান।

পুলিশী বাঁধার কারণ জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানা ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘একই সময়ে একই স্থানে দুই পক্ষ সমাবেশ ডাকে। শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হবার আশঙ্কায় কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।’

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্মান সংরক্ষন পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ওয়াসার সম্মুখে জড়ো হন। এবং নিকটস্থ মরহুম জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী বাসভবনের সামনে পল্টন রোডে তারা পথসভা করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মিছিল ও এইসব সভা সভা-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লাঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব ও মহাসচিব মরহুম জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরীরপুত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আজীজ এর সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার শওগত আনোয়ার খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর মহাসচিব উত্তম কুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, অর্থ সম্পাদক সওকত মাসুম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনজু, মোঃ নাসির খান, উজ্জ্বল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি নওশাদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সহ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে চৈতী বসু, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ -সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীর উওম খেতাব) প্রাপ্ত এর সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম রসুল নিশান প্রমুখ।