চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাটি দায়ের করেছিল।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিনের আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। পরে আদালত ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রনি কুমার দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহিউদ্দিন চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী হিসেবে সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানাই। পরে আদালত তা গ্রহণ করে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, নগরীর মুরাদপুর জংশনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে টেন্ডার ছাড়া বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক শামসুল আলম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে আটজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলা দায়েরের পর ২০০২ সালের ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে একটি রুল জারি করে সেই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহিউদ্দিনকে জামিন দেয়া হয়।
এরপর ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মহিউদ্দিনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটি আবারও সচল হয়েছে।