অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বায়েজিদ পাহাড় থেকে ৩৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

0
.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:

ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সড়কের দুই পাশে পাহাড় কেটে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সোমবার (১৪ জুন) সকাল ১১টাা থেকে পাহাড়ের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঝুকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়৷ দিদনভর অভিযানে প্রায় ৩৭০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযান পরিচালনা করেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক, কাট্টরী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাসান, হাটহাজারি সার্কেলের সহকারী কমিশনার শরীফ উল্যাহ, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার এহসান মুরাদ, সীতাকুণ্ড সার্কেলের সহকারী কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার মাসুমা জান্নাত।

.

আরও খবর: বায়েজিদ লিংক রোডে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, গত ৯ জুন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের কার্যালয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে (সোমবার) থেকে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ফৌজদারহাট – বায়েজিদ সংযোগ সড়কের দুইপাশে উচ্ছেদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ অভিযান চলছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

.

উল্লেখ, পাহাড় ধসের শঙ্কায় তিন মাসের জন্য এ সড়কটি বন্ধ করে দেয় সিডিএ।সড়কের দুই পাশে অন্তত ১৫টি পাহাড় কেটে সেখানে বহু ঘর নির্মান করা হয়েছে। জঙ্গল সলিমপুর ও ফৌজদারহাট পর্যন্ত দুরত্ব পাঁচ কিলোমিটারেরও কম। এ দুই জায়গায় দুটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও পাহাড়গুলো কেটে ঘর নির্মান করা হয়েছে। ঘর নির্মানে স্থানীয় একাধিক সিন্ডিকেট জড়িত।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে, প্রতি বছরই বৃষ্টি শুরু হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। আর উচ্ছেদ অভিযানের পর থেকেই দখলদাররা আবারও একই জায়গা দখর করে ঘর তৈরী করে। ভাঙা গড়ার এই খেলা না খেলে উচ্ছেদের পর পরই যদি জায়গাগুলো প্রশাসন আয়াত্বে নিয়ে নেয় তাহলে আর দখল হয়না, বছর বছর উচ্ছেদেরও প্রয়োজন হয়না।