অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ফিরোজ শাহ কলোনি মসজিদের খতিব শামীম হুজুর গ্রেফতার

0
.

জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ শামীমুর রহমান প্রকাশ শামীম হুজুরকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া আন আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াতের দেওয়া তথ্যের ভিক্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শামীম হুজুরকে গ্রেপ্তার করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী জানান, গ্রেফতার শামীম হুজুর ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব এবং স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার শিক্ষক। তিনি ২০ বছর ধরে ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকার বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত কওমি মাদরাসাটিতে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। শামীমের বাড়ি গোপালগঞ্জে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত খতিব শামীমের বাসায় আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক বৈঠক হত। এসব বৈঠকে থাকতেন সাখাওয়াতও। সিরিয়ায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পর সাখাওয়াতের সঙ্গে আবারও শামীমের বৈঠক হয় বাসায়।

অন্যদিকে তিন দিনের রিমান্ডে থাকা সিরিয়া ফেরত শাখাওয়াত হোসনে ওরফে লালুকে আবারও তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সিরিয়াফেরত ‘জঙ্গি’ শাখাওয়াত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ শামীমুর রহমানের নাম প্রকাশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাখাওয়াত হোসনে ওরফে লালু ২০১২ সালে তাঁর ভায়রা মো. আরিফ ও মো. মামুনের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। সংগঠনের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ অন্যদের মাধ্যমে জিহাদি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। এরই অংশ হিসেবে সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নিতে ২০১৭ সালে তুরস্কে যান। তুরস্ক থেকে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় ঢুকে ছয় মাস ‘হায়াত তাহরির আরশাম’-এর কাছ থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন। পরে ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন শাখাওয়াত আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১২ জুন তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত শাখাওয়াতের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রথম দফায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (১৫ জুন) তাকে দ্বিতীয় দফায় আবারও রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আরও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।