অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঈদের দিন মাঠে থাকবে জেলা ও চসিক ম্যাজিস্ট্রেট

0
ফাইল ছবি।

কোরবানীর ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরীর কোথাও যত্রতত্র জবাইকৃত কোরবানীর পশুর চামড়া ফেলে দেয়া যাবে না। কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যদি অন্যান্য বারের ন্যায় চমড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকবেন। প্রয়োজনে জবাইকৃত প্রতিটি পশুর চামড়া আট থেকে দশ কেজি লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে। এতে চামড়া নষ্ট হওয়া ও দুর্গন্ধ চড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে জাতীয় সম্পদ কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সার্বক্ষণিক তদারকির লক্ষে চসিক টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘ দিন পর সরকার এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। এতে অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলী, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকতা ডিডিএলফি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর সহকারী পরিচালক ডা. কামরুল আযাদ, আনসার ভিডিপির রেঞ্জ কমান্ডার রাফিউল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভুষণ দাশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনে পরিচালক মো. সলিম উদ্দীন, বিসিক চট্টগ্রামের উপ মহাব্যবস্থাপক জামাল নাসের চৌধুরী, ডিআইজ অফিসের এসপি মো. হাসান বারী প্রমুখ। সভায় সিটি কর্পোরেশনের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ মোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, সরকার দীর্ঘ দিন পর এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে ও বলা হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদেও সমন্বয়ে চামড়া সংরক্ষণে প্রচার প্রচারনা চালানো। শেষ মুহূর্তে যেহেতু সিদ্ধান্ত এসেছে এবার প্রাথমিকভাবে প্রচার প্রচারনা হিসেবে সিসিএলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্র্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ তৎপর থাকবেন যাতে কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যেখানে সেখানে চামড়া ফেলে যেথে না পারে।

সভায় বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে জানাগেছে এবার সারাদেশে এক কোটির মতো পশু কোরবানী হবে। চট্টগ্রাম নগরে আট লাখ নয় হাজার পশু জবাই হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

জেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায় সরকার এবার এক কোটি বর্গফুট চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা হতে হবে লোমবিহীন (ওয়েভ ব্লু ) চামড়া। কাজেই পশু জবাই করার পর যেনতেন ভাবে পশুর চামড়া ও পশুর কান এবং মাথার চামড়া যেন তেন ভাবে ছড়িয়ে ফেলে দেয়া যাবে না। কারণ বিসিক এবার পর্যাপ্ত লবন সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে। কাজেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লবনজাত করে তিন/চার দিন পশুর চামড়া সংরক্ষণ করতে পারবেন। চামড়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। মফস্বলের মৌসুমী ব্যবসায়রাও যথাযথ প্রক্রিয়ায় লবন জাত করে চামড়া তিন/চার দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। সংরক্ষণ করা গেলে মফস্বালের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন আশাকরি।

জেলা প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা জানান তারা এবার কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও চামড়া ছড়ানোর প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়ে বিশ হাজার লিফলেট ছাপিয়েছেন। যা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও নগরবাসীর মাঝে বিলি করা হবে। কারণ চামড়া সংরক্ষণ করে মাদ্রাসা ও এমিতখানাগুলো। কাজেই যতাযথ প্রচারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তৎপর থাকলে চামড়া শিল্প এবার লাভজনক হবে বলে আশাকরি।