অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

করোনার বিরুদ্ধে অর্জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হারানোর ঝুঁকি রয়েছে

0
.

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অর্জন, তা অতি উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এখনও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব টিকা অনুমোদন দিয়েছে, তা কার্যকর বলে শুক্রবার জানিয়েছে এ সংস্থাটি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, জলবসন্তের মতোই সংক্রামক হয়ে উঠেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এতে সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ অসুস্থতা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, বিশ্বের বেশির ভাগ এলাকায় গত চার সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৮০ ভাগ। আফ্রিকায় টিকা দেয়া হয়েছে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১.৫ ভাগকে। সেখানে গত চার সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে শতকরা ৮০ ভাগ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলেন, বিশ্বের বহু দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে যে জয় পাওয়া গিয়েছিল তা বিপন্ন হচ্ছে বা পরাজিত হচ্ছে। বিশ্বের কমপক্ষে ১৩২টি দেশে শনাক্ত করা হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় ইমার্জেন্সি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ সব রকম ভ্যারিয়েন্টে ভয়াবহ অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুরক্ষা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত বর্তমানের সব টিকা।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেই একই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু এটা এমন এক ভাইরাস যা দ্রুততার সঙ্গে এবং সফলতার সঙ্গে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। এটাই হলো পরিবর্তন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ে টেকনিক্যাল দিকটিতে নেতৃত্ব দেন মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূল করোনা ভাইরাসের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি সংক্রমণশীল এই ভ্যারিয়েন্ট।

তিনি আরও বলেছেন, কিছু দেশে হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে উচ্চ হারে মৃত্যুহার রেকর্ড নেই।

শুক্রবার জাপান বলেছে, অলিম্পিক আয়োজন হচ্ছে যে টোকিও ও ওসাকা শহরে সেখানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। মাইক রায়ান বলেছেন, ২৪ ঘন্টায় টোকিওতে কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। আর জাপানজুড়ে এই সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।