অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আওয়ামী লীগ ত্রাণ দেয়না, কিন্তু ত্রাণ চুরি করে: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ত্রাণ দেয়না। কিন্তু ত্রাণ চুরি করে। তাও আবার সরকারি ত্রাণ। আর আমাদের নেতা-কর্মীরা হামলা, গুম, খুন, নির্যাতন সবকিছু সামনে নিয়ে সমস্ত নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আজকে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। এটাই হচ্ছে শহীদ জিয়ার রাজনীতি, এটাই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ মিথ্যা কথা বার বার বলতে বলতে সেটাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা সত্য কথা বলি। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আপনি সত্য কথা বলতে পারবেন না। বিএনপি যখন সত্য কথা বলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা নির্যাতন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

তিনি আজ শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপি’র ৩৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত আরও বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে। শহীদ জিয়া নাকি মুক্তিযোদ্ধা নয়। কবরের লাশ নেই। আমরা বলতে চাই, শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে এভাবে আর কতদিন মিথ্যাচার করবেন? ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী নয়। যত বেশি শহীদ জিয়াকে নিয়ে মিথ্যাচার করবেন তত বেশি নতুন প্রজন্ম শহীদ জিয়াকে জানবে। শহীদ জিয়া একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের যুদ্ধের ইতিহাস, শহীদ জিয়ার দেশপ্রেমের ইতিহাস, শহীদ জিয়ার গণমুখী উন্নয়নের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে স্থান করে নিবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমানুষের দল হচ্ছে বিএনপি। উন্নয়নের দল হচ্ছে বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে গণমুখী উন্নয়ন, উৎপাদনের রাজনীতি মাঠে-ঘাটে, গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে দিয়েছিল। খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক-মজুর, নিম্নশ্রেণীর মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতিক করেছিলেন। শহীদ জিয়ার উন্নয়ন ছিল কৃষকের আইলে আইলে, শ্রমিকের বস্তিতে বস্তিতে। খালকাটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছিলেন শহীদ জিয়া। শহীদ জিয়া অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিল। এই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যখনই ক্ষমতায় ছিল আপনাদের পাশে ছিল, এখন ক্ষমতায় নেই তারপরও আপনাদের পাশে আছে। আগামীতেও আপনাদের পাশে থাকবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখন একদলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে। জনগণ আজ কথা বলতে পারেনা। মিটিং এ মাইক ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। জনগণের কন্ঠরোধ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাগারে আছে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় দেশের বাইরে। আমরা যারা নেতাকর্মী আছি তারাও মিথ্যা মামলা-হামলা নির্যাতন নিপীড়নে জর্জরিত। বিএনপি জনগণের দল হিসাবে জনগণের সুখে দুঃখে আছে, আগামীতেও থাকবে। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা হামলা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মো.সেকান্দর এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাজী ইমরান উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, বাকলিয়া থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আই চৌধুরী মামুন, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, ইসমাইল বাবুল, এমদাদুল হক বাদশা, আরো উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম , খোরশেদ আলম, শফিকুর রহমান শফি, মোঃ শাহজাহান, সাবেক কাউন্সিলর এ.কে.এম.আরিফুল ইসলাম ডিউক,জমির উদ্দিন বাবলু, হাজী আব্দুল কাদের, আব্দুর রহমান বাবু, হোসেন সওদাগর, রাজা মিয়া, হাছি মিয়া, কাজী মাহমুদ হাসান, নুর আহমদ, মনসুর সওদাগর,শরফত উল্লাহ, খোরশেদ আলম, সমদ কন্টাকটার, মোঃ সামসু, আইয়ুব খান, এখতিয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফোরকান, গোলজার হোসেন লেদু, মোরশেদুল আলম, মুক্তার মেম্বার, যুবদল নেতা মোহাম্মদ সেলিম, ইসমাইল হোসেন লেদু, জামশেদুল হক, মোহাম্মদ শাহজাহান, এসকান্দর, মোহাম্মদ সাজু, মোঃ ইমন, মোহাম্মদ জাহিদ, মোহাম্মদ রায়হান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আফতাব ফোরকান, গাজী শওকত, মোহাম্মদ রিদুয়ান, সুলতান মাহমুদ,ছাত্রদল নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাদ্দামুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ, মোঃ রনি, মোহাম্মদ রকি,মোঃ জিসান, মোহাম্মদ মিজান, মোঃ আরমান, মোহাম্মদ আলভী, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।