অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শামসুল হক চট্টগ্রামের রাজনীতিতে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য শামসুল হকের অকাল মৃত্যু ছিল আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টের। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। তৃণমূলের রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু করে তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

তিনি আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য শামসুল হকের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির শোক সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন-শামসুল হক একজন কর্মী বান্ধব নেতা ছিলেন। কর্মীদের ডাকে সবসময় সাড়া দিয়েছেন তিনি। কোন কর্মীর যে কোন প্রয়োজনে তিনি সবার আগে এগিয়ে যেতেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত বিশ্বস্ত প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর পর তার জানাযায় প্রচুর মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তিনি কতটা মানুষের হৃদয়ে ছিলেন। তিনি সবার হৃদয় জয় করা একজন নেতা ছিলেন। শামসুল হক চট্টগ্রামের রাজনীতিতে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন। তাই তার স্মৃতিকে ধারণ করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

ডা. শাহাদাত বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে শামসুল হক যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তিনিশহীদ জিয়ার নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপি ও যুবদলকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে যে অবদান রেখেছেন নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন। শামসুল হকও তার রাজনৈতিক কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। দলের প্রতি তার অবদানকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো।

মরহুম শামসুল হকের স্মৃতিচারণ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, শামসুল হক চট্টগ্রামে যুবদলকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতা ও তার পরিবারকে সইতে হয়েছে সরকারি নানা শারীরিক ও মানসিক জুলুম নির্যাতন। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সকল ধরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী, সৎ ও সাহসী নেতা। মরহুম শামসুল হক অমায়িক আচরণের অধিকারী ছিলেন। এজন্য তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীর কাছে আজীবন বেঁচে থাকবেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম বলেন, শামসুল হক ওয়ান ইলেভেনের কঠিন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও দুর্যোগকালীন সময়ে তার মত যোগ্য নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার আদর্শকে ধারণ করে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড, মুফিজুল হক ভূঁইয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, আবদুল্লা আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহমদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, বিএনপি নেতা ইয়াকুব চৌধুরী, মো. মহসিন, শওকত আলী বাবুল, নাজিমুল হক নাজু, মরহুম শামসুল হকের ছোট ভাই এনামুল হক রাজু, বড় ছেলে আবু সুলতান সানি, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, দিদারুর রহমান লাভু, কাজী শামসুল আলম, মো. বেলাল, হুমায়ুন কবির সোহেল, ফারুক আহমদ, খাজা আলাউদ্দিন, এস এম ফরিদুল আলম, এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান চৌধুরী, মনজুর কাদের, হাজী মো. জাহেদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমজাদ হোসেন, সাবের আহম্মদ টারজান, মো. আলমগীর, মো. শাহজান, তৈয়ব আলী, এম আর খান ফারুক, আরাফাত নুর হিমেল প্রমুখ।