অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লোহাগাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুলের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও ভাইরাল

0
.

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে গিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা এলডিপির সভাপতি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। এমময় প্রতিপক্ষকে ভয়-ভীতি দেখাতে কয়েকটি ফাঁকাগুলি ও ইট-পাথর ছুঁড়েছেন তার সহযোগীরা।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মা-মনি হাসপাতাল সংলগ্ন বোয়ালিয়াকুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী স্থানীয় বোয়ালিয়াকুল এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল হকের পুত্র প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম (৪০) জানান, বিগত প্রায় ৬ বছর যাবত উক্ত জায়গাটি নিয়ে তাদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের উপর এ পর্যন্ত ৪ দফা হামলা চালিয়েছে জিয়াউল হক বাবুল। তাদেরকে বসতঘর থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে আসছিল বার বার। ঘটনার দিন উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল ও তার ভাতিজা ইনজামামুল হক যুবরাজের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মহড়া দিয়ে জায়গাটি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে ঘায়েল করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ইট-পাথর ছুঁড়েন।

সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের জায়গায় যেতে সামনে তাদের কিছু জায়গা রয়েছে। পেছনের জায়গাটি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল এস আলম গ্রুপকে বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। ওই জায়গায় যেতে রাস্তা হিসেবে তাদের মৌরসী দলীয় জায়গাটিও বিক্রি বা ছেড়ে দেয়ার জন্য একাধিকবার বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দেয় বাবুল। কিন্তু তারা তাদের মৌরসী জায়গাটি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পরিবারের উপর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের নেতৃত্বে স্বসস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। এছাড়াও ইতোপূর্বে বোয়ালিয়া খালের গতিপথ পরিবর্তন করে তাদের মৌরসী দখলীয় জায়গার উপর প্রবাহিত করেন বাবুল। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জিয়াউল হক বাবুল যে কোন সময় তাদের উপর হামলা করতে পারেন এমন আশংকা প্রকাশ করছেন সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও ঘটনার সময় থানা পুলিশকে একাধিক বার ফোন করা হলেও বাবুলের লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন বলেও জানান তিনি।

.

এদিকে, জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দেওয়া এবং তার সাথে থাকা একজন লোক অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়া ও ফাঁকি গুলি ছুঁড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাক্তিগত অধিকার ও নিজের ধন সম্পদ রক্ষার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়।  তবে, ওখানে তিনি কতটুকু নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গেছেন তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এ ব্যাপারে জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল বলেন, আমি জায়গাটি এস আলম গ্রুপকে বিক্রি করেছি। আজ জায়গাটিতে বাউন্ডারি ওয়াল দিতে গেলে মাহমুদুল হক গং কিরিচ দিয়ে আমাদেরকে আক্রমণ করতে আসলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। জনসম্মুখে প্রদর্শন করা অস্ত্রটা লাইসেন্স করা। এটি তার নিরাপত্তার জন্য তার সাথে থাকে বলে তিনি জানান।