অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গত ১০ বছরে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে: ডা.: শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন এই সরকারের সময়ে বেশি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ নেই যে তারা সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জায়গা -জমি দখল করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা আছে যারা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করেছে। গত ১০ বছরে সংখ্যালঘু বেশি নির্যাতিত হয়েছে। এই সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও শত্রু সম্পত্তি আইন এখনো নিষ্পত্তি করতে পারে নাই এবং সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও শত্রু সম্পত্তি নিয়ে এ সরকার দিতে পারে নাই। এই সরকারের অধীনে কেউ নিরাপদ নয়। কেউ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারে না। একদলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে।

তিনি আজ ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার, বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতনী ভাই বোনদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আমরা আপনাদের যেকোন পূজা-পার্বণে আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। শারদীয় দুর্গোৎসবে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে শারদীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, রাখাইন, মারমা আমাদের একটাই পরিচয় আমরা সকলেই বাংলাদেশী।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজকে কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ লিখতে পারে না।এরা এখন সম্পূর্ণভাবে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হয়েছে। এ সরকার সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরেছে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। গতকাল শতাধিক অনলাইন নিউজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে তারা চরম অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। যারা এই সরকারের পক্ষে লিখছে তাঁরা অনুমতি পাচ্ছে। আর যারা সত্য কথা বলছে এবং সত্য কথা সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে এই সরকার।

ডাঃ শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ হাহাকার করছে। বাজার মনিটরিংয়ে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণমানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।একদিকে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরছে। অন্যদিকে দুঃশাসনের দিন কাটাচ্ছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্য নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গনে মিলিত করে। বিএন‌পি সংখ‌্যালগু ত‌ত্বে বিশ্বাস ক‌রেনা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়। দে‌বি দূর্গার আগম‌নে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির সুচনা হ‌বে। দে‌শে গণতন্ত্র ও আই‌নের শাসন ফি‌রে আস‌বে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বিপ্লব চৌধুরি সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার জুয়েল এর সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ন আহবায়ক এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল হালিম শাহ আলম, আব্দুল মান্নান, সদস্য কামরুল ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডা.সারোয়ার আলম, মনজুর রহমান চৌধুরী, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নূর হোসেন, আরিফ মেহেদী, জাকির হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া, খাইরুজ্জামান জুনু, কেন্দ্রীয় হিন্দু ছাত্র ফোরাম নেতা রাজীব ধর তমাল, নগর হিন্দু ছাত্র ফোরাম নেতা বাপ্পী দে, মিঠুন কান্তি দাস, সঞ্জয় ধর সঞ্জু, সাজু দাস, প্রান্ত বসক, সীমান্ত ধর, প্রেমু নাথ, সুমন ধর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।