অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মীরসরাইয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জনকে গলাকেটে হত্যা

0
বাড়ীটির সামনে উৎসূক জনতার ভীড়।

চট্টগ্রামের মীীরসরাই উপজেলার স্বামী- স্ত্রীসহ ৩ জনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম সোনা পাহাড় নিজ বাড়ী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- স্থানীয় মুদি দোকানি মো. মোস্তফা সওদাগর (৬৭), তার স্ত্রী জোসনারা বেগম (৫৫) এবং তাদের ছেলে আহমদ হোসেন (২৫)।

পুত্র বধূকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. নূর হোসেন মামুন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গ্রামবাসীর দেয়া খবরের ভিক্তিতে ভোরে একই পরিবারের ৩ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৩জনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা কি কারণে এ হত্যাকান্ড করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি ডাকাতি না পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বাড়িতে থাকা মোস্তফার বড় ছেলে সাদ্দাম ও তার স্ত্রী আইনুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।

নিহতদের মরদেহ বাড়ীর আঙ্গিনায়।

স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির হাসেম ফোন করে জানান মোস্তফা নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। তখন রাত ৪টা। ফজরের নামাজ পড়ে মুসল্লিদের নিয়ে মোস্তফার বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়ির উঠোনে বড় ছেলে সাদেক হোসেন শুয়ে আছে। শরীরে, হাতে, পায়ে রক্ত। তিনি রাতে ঘটনার পর বাড়ির ছাদে উঠে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করেন। বাড়ির চারপাশে সীমানা ওয়াল দেওয়া, গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তাঁর মায়ের গলায় সোনার চেইনটিও রয়ে গেছে। ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

সাদেক চট্টগ্রামের ক্লিফটন গ্রুপে চাকরি করেন। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসেন। গতকাল বুধবার বাড়িতে চলে আসায় মানুষের সন্দেহ বেড়ে যায়। মোস্তফার তিন ছেলে এক মেয়ে। দুই ছেলে ও মেয়ে বিবাহিত।

স্থানীয়দের ধারণা পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। একই পরিবারের ৩ জনের হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত উৎসূক মানুষ তাদের বাড়ীর সামনে ভীড় করেছে।