অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কমোডর রাব্বানী হত্যা মামলার দুই আসামীর আত্মসমর্পণ

0
fb_img_1466519789943
.

চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেইপিজেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর গোলাম রাব্বানী হত্যা মামলার সাজা প্রাপ্ত দুই আসামি বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেছে। তারা হলেন, হলেন, আবু নাসের চৌধুরী (৭২) এবং মো.সেলিম (৪৮)। আত্মসমর্পণের পরপরই আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি মো.আইয়ূব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী আদালতে বিকালে এ মামলার শুনানী হয়। একই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মো.সাইফুল ওরফে বিলাই সাইফুলের জামিনের আবেদনও নাকচ করেছেন আদালত

উল্লেখ্য ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল ইপিজেডের সাইট পরিদর্শনে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাচঁলাইশ থানাধীন মুরাদপুস্থ মোহাম্মদপুর মাজারের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন গোলাম রাব্বানী। ১৩ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কেইপিজেডের সাবেক পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী ও কর্মচারী হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নাম উল্লে­খ করে পাঁচলাইশ থানায় ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল কেইপিজেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এমতাজুল ইসলাম এজাহার দায়ের করেন। ওই বছরের ২৮ আগস্ট সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তাঁরা হলেন আবু নাসের চৌধুরী, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম ওরফে বিলাই সাইফুল, মনছুর আলম, মো. সেলিম, সোহেল প্রকাশ আবদুল মালেক ও মো. হাশেম।

এব্যপারে হত্যা মামলা দায়েরের পর ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে আসামি মো. সেলিম, মো. হাশেম ও মো. সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এ

ছাড়া রায়ে আসামি কোরিয়ান ইপিজেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের চৌধুরী ও সাবেক প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে বিলাই সাইফুল ও মনসুর আলমকে খালাস দেওয়া হয়।

নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি  কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। এতে আবু নাসের চৌধুরীকে দেয়া ট্রাইব্যুনালের ৫ বছরের কারাদন্ডের মেয়াদ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। এছাড়া আসামি সাইফুল ওরফে বিলাই সাইফুলের খালাসের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়।

চলতি বছরের ৫ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে আট সপ্তাহের মধ্যে চার আসামি আবু নাসের চৌধুরী, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, মো. সেলিম ও সাইফুল ইসলামকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।